মোঃ আকিব বিন জাকের, মহেশখালী:
মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ বিষাক্ত পিরানহা মাছ।

এমনই এক দৃশ্য দেখা গেছে উপজেলার হোয়ানক ইউপিস্থ টাইমবাজারের মাছ বাজারে। দেখা মিলে একজন পেশাদার পিরানহা বিক্রেতার, যার নাম শফি আলম। স্থানীয় কেউ তাকে ঐ মাছ বিক্রয়ে বাধা দিলে তার উপর সে উল্টো চড়াও হয়।

উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশ সরকারও ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাক্ষুসে স্বভাবের কারণে পিরানহা মাছ চাষ, উৎপাদন, পোনা উৎপাদন, বংশ বৃদ্ধি, বাজারে বিক্রি এবং বাজার থেকে ক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

এছাড়া বিদেশ থেকে আফ্রিকান পিরানহা মাছ, মাছের রেণু ও পোনা আমদানি করলে জেল জরিমানার বিধান রেখে মৎস্য সংঘ নিরোধ আইন-২০১৭ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ। এই আইন অমান্য করলে দুই বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

কিন্তু এরপরও উপজেলাজুড়েই এসব মাছ প্রকাশ্যে আমদানি ও খোলা বাজারে বিক্রি হতে হরহামেশাই দেখা যায়। যা বেশিরভাগ সময় থাই রূপচাঁদা বা সামুদ্রিক চাদাঁ নামে বিক্রি হয়। দামে কম হওয়ায় এবং রুপচাঁদার নামে বিক্রি করায় প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। এবং থেকেই যাচ্ছে এসব রাক্ষুসে মাছের কারণে মৎস্যশিল্প বিলুপ্তির সম্ভাবনা।

এই বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দু রহমান খানকে জানালে তিনি খুব দ্রুতই অবৈধ পিরনহা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।