সিবিএন ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬ মার্চ সরকারি স্থাপনায় হামলার অভিযোগে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস বিভাগের ২০ জন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ সোমবার রাতে মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব মুফতি সামছুল হক সরাইলী স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাঁদের বাহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কৃত ২০ জনই জেলা শহরের কান্দিপাড়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ২০২০-২০২১ ঈসায়ী শিক্ষাবর্ষের দাওরায়ে হাদিস বা তাকমিলে হাসিদ বিভাগে পড়তেন। তাঁরা এ বছর বিদায়ী শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিল। বহিষ্কার হওয়া ছাত্ররা হলেন আশেক এলাহি, আবু হানিফ, মিছবাহ উদ্দিন, আশরাফুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, মবকুল হুসেন, রফিকুল ইসলাম, মুবারকুল্লাহ, বোরহান উদ্দিন, আবদুল্লাহ আবজাল, মো. জুবায়ের, হিজবুল্লাহ রাহমানী, জুবায়ের, শিব্বির আহমদ, ইফতেখার আদনান, সাইফুল ইসলাম, মো. সোলাইমান, রাকিব বিল্লাহ, তারেক জামিল ও মো. হাবিবুল্লাহ। তাঁদের সবার বয়স ২০ থেকে ২২ বছর হবে।

মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব মুফতি সামছুল হক সরাইলী স্বাক্ষরিত এক আদেশ সূত্রে জানা গেছে, জামিয়ায় ভর্তি পালনীয় শর্তাবলির ২৫ নম্বর ধারায় মাদ্রাসার সমুদয় রীতিনীতি ও আইনকানুন অমান্য করে হুজুরদের বাধা উপেক্ষা করে গত ২৬ মার্চ বিকেলে জেলার সরকারি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। হামলায় এই ২০ জন মাদ্রাসার ছাত্র অংশ নিয়েছেন বলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে। তাই তাঁদের মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও জেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুবারকুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব সামছুল হক সরাইলীর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও বন্ধ পাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আবদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ২৬ মার্চ মাদ্রাসার শিক্ষকেরা ওই ২০ ছাত্রকে মাদ্রাসায় রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিষেধ উপেক্ষা করে মাদ্রাসা থেকে বের হয়েছেন ওই ছাত্ররা। তাঁরা সরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছেন। ঘটনার এক মাস পরে কেন বহিষ্কার করা হলো—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এত দিন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়নি। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাই তাঁদের মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে গত রোববার রাতে জেলা হেফাজতের সহকারী প্রচার সম্পাদক মুফতি জাকারিয়া খানকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহিংসতার ঘটনায় ৫৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৫৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অধিকাংশই হেফাজতের কর্মী।