অনলাইন ডেস্ক:
সম্প্রতি ভারত সরকারের আইনি অনুরোধের ভিত্তিতে বেশ কিছু টুইটবার্তা আটকে দেওয়া হয়েছে। টুইটার জানায়, সরকারের সমালোচনামূলক কিছু টুইটবার্তা সরিয়ে নিতে নয়া দিল্লি একটি তাৎক্ষণিক নির্দেশ জারি করে।

জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালের করুণ দশা, অক্সিজেন সংকট ও করোনা রোগীদের চিকিৎসার করুণ অবস্থা নিয়ে এমপি থেকে শুরু করে বলিউড অভিনেতারা পর্যন্ত সামাজিকমাধ্যমে সমালোচনামুখর হয়ে উঠেন।

ভারত সরকার ২৩ এপ্রিল এ সংক্রান্ত একটি আইনি নির্দেশনা পাঠায় টুইটারকে। এসব টুইট বার্তার মধ্যে রেভনাথ রেড্ডি নামের একজন আইন প্রণেতা, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং অবিনাশ দাস নামের এক চলচ্চিত্র নির্মাতার টুইটও রয়েছে।
সরকারি অনুরোধপত্রে ভারতের ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের কথা উল্লেখ করা হয়। এক বিবৃতিতে টুইটারের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা যখন একটি বৈধ আইনি অনুরোধ পাই, আমরা সেটি টুইটারের নীতিমালা ও স্থানীয় আইনের নিরিখে পর্যালোচনা করি। কোন পোস্ট যদি টুইটারের নীতিমালা ভঙ্গ করে, তাৎক্ষণিকভাবে তা সরিয়ে ফেলা হয়। যদি সেটা টুইটারের নীতিমালা ভঙ্গ না করে, কিন্তু একটি নির্দিষ্ট আইনি এলাকার আইনে বেআইনি বিবেচিত হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা শুধু ওই এলাকা, অর্থাৎ ভারত থেকে ওই টুইটবার্তায় প্রবেশ বন্ধ করে দিই।’

মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, ‘টুইটবার্তা আটকে দেওয়ার বিষয়টি অ্যাকাউন্টধারী ব্যক্তিদের তারা সরাসরি জানিয়েছেন এবং এটাও জানিয়েছেন টুইটবার্তাটি বন্ধ করে রাখার বিষয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানকে আইনি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

ভারতের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে সেখানে। করোনা নিয়ে এমনিতেই ভয়াবহ অবস্থা ভারতের, তার ওপর সমালোচনার ঝড়ে ধুঁকছে দেশটির সরকার।