অনলাইন ডেস্ক: বরণ্য চিত্রনায়ক আলমগীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর গ্রীণ লাইফ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যেই কে বা কারা তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে। আর তাতে বিরক্ত হয়েছেন তার পরিবারের মানুষেরা। এ নিয়ে সোমবার (২৬ এপ্রিল) কথা বলেন আলমগীরের কন্যা সঙ্গীতশিল্পী আঁখি আলমগীর।

আলমগীরকন্যা বিরক্ত প্রকাশ করে বলেন, ‘জানি না কারা এমন বিকৃত মানসিকতার মানুষ। এমনিতেই পুরো পৃথিবী করোনার কারণে একটা অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে যদি শুনি আব্বুর মৃত্যুর গুজব, তাহলে কেমন লাগবে বলুন? যাই হোক আব্বু ভালো আছেন। চিন্তার কোন কারণ নেই।’

গত ১৮ এপ্রিল আলমগীর করোনার পরীক্ষা করান। তার ফল পজিটিভ আসায় তিনি হাসাপাতালে ভর্তি হন।

আলমগীর তার স্ত্রী কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লাসহ রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে গত ১৭ এপ্রিল করোনার দ্বিতীয় টিকা গ্রহণ করেন। তাদের সঙ্গে একই দিনে টিকা গ্রহণ করেন আলমগীরের তিন সন্তান মেহরুবা আহমেদ, আঁখি আলমগীর ও তাসবির আহমেদ।

বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের দুই সপ্তাহ পর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির কাজ শুরু হয়। আলমগীর সে সময়টুকু পাননি।

১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল আলমগীরের জন্ম রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজে। তার শৈশব-যৌবন কেটেছে তেজগাঁয়। তার আদি নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। ১৯৭৩ সালে অভিনয়ে আসেন তিনি। গত প্রায় চার দশকে ২৩০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন আলমগীর। নির্মাণ করেছেন ৭টি সিনেমা।

কলেজ জীবনে নাটকের মধ্য দিয়ে তার অভিনয় জীবনের যাত্রা শুরু হয়। তবে ১৯৭২ সালের ২৪ জুন তিনি প্রয়াত বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক আলমগীর কুমকুমের নির্দেশনায় ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান।

কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। পরবর্তীতে আরও আটবার একই পুরস্কারে ভূষিত হয়ে বাংলাদেশের সব নায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবার রেকর্ড সৃষ্টি করেন তিনি। তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘নিষ্পাপ’ (১৯৮৬)। বাচসাস’ পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি তিনবার। এছাড়া ‘উত্তম কুমার সম্মাননা’, ‘কালাকার অ্যাওয়ার্ড’,‘ বেঙ্গল ফিল্ম অ্যান্ড কমার্স এসোসিয়েসন অ্যাওয়ার্ড’-এর মতো আন্তর্জাতিক সম্মাননায়ও ভূষিত হন এই অভিনেতা।

-সারাবাংলা