সিবিএন ডেস্ক:
বছরের পর বছর ধরে পবিত্র রমজান এলেই জেরুজালেমের দামাস্কাস গেটে জড়ো হন ফিলিস্তিনের মুসলিমরা। সেখানে জড়ো হয়ে ইবাদত বন্দেগী করেন তারা।

কিন্তু ইহুদিবাদী দখলদার খুনী দেশ ইসরায়েল দখলে নিয়েছে ফিলিস্তিনের ভূমি। এরপর গতবছর দামাস্কাস গেটের সামনে রমজান পালন বন্ধ করে দেয় তারা।

চলতি বছরেও দামাস্কাস গেটের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল পুলিশ। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। শুরু হয় প্রতিবাদ।

দামাস্কাস গেট পূর্ব জেরুজালেমের ইসরায়েলের জোরপূর্বক দখল করা এলাকার মধ্যে পড়ে। রমজানের শুরু থেকেই মানুষ সেখানে প্রার্থনা করতে গিয়ে বাধা পান। সংঘর্ষ শুরু হয় খুনী ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে।

প্রতিবাদ শুরু হয় গাজাতেও। উত্তেজনা বাড়তে থাকে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে। মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু থাকেন।

খুনী ইসরায়েলের বর্বর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। লাঠি চালায় নির্বিচারে। প্রচুর বিক্ষোভকারীকে বন্দীও করে।

কিন্তু নবীপ্রেমে মশগুল মুসল্লিরা বিক্ষোভ থামাননি। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বাজি পুড়িয়েও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। গাজায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিক্ষুব্ধরা।

অবশেষে রোববার বাধ্য হয়ে দামাস্কাস গেটের সামনে থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নেয় খুনী ইসরায়েলের পুলিশ।

এরপর প্রচুর মানুষ দামাস্কাস গেটের সামনে জড়ো হয়ে ইবাদত-বন্দেগী শুরু করেন। এবার উত্তেজনা কমবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : আনাদুলু এজেন্সি