সিবিএন ডেস্ক:

আল্লামা আহমদ শফী পুত্র আনাস মাদানীর নামে ফেইসবুকে ফেক আইডি খুলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এমনটি অভিযোগ করেছেন আনাস মাদানী।

রবিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রয়াত আমীর মরহুম আল্লামা আহমাদ শফি পুত্র আল্লামা আনাস মাদানী পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রয়াত আমীর আল্লামা শফী রাহ.’র পুত্র আনাস মাদানীর নামে ফেইসবুকে ফেক আইডি ও পেইজ তথা ফেসবুক পাতা ব্যবহার করে প্রশাসন, কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও কু-রুচিপূর্ণ কথা ছড়িয়ে মানহানি করার চেস্টা চালাচ্ছে।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, বিগত দুই বছর যাবৎ ২০১৯ এর জুলাই হতে আল্লামা আনাস মাদানীর ছবি ও তার নাম ব্যবহার করে কে বা কাহারা ফেইসবুকে একটি ফেক আইডি ও দু’টি ফেসবুক পেইজ খুলে ব্যবহার করছে। আমি অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি- কে বা কারা আমার নামে একটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছে।

উক্ত আইডি দিয়ে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট কু-রুচিপূর্ণ কথা লিখে তাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কুচক্রী মহল অপ প্রচার চালাচ্ছে। ফেক (ভুয়া) পেইজ লিংক ১। https://www.facebook.com/anas.madani.BD
২। https://www.facebook.com/107080698184249/posts/109369747955344
৩। ফেক (ভুয়া) আইডি লিংক https://www.facebook.com/profile.php?id=100052474005330

বিষয়টি ২৫ এপ্রিল নজরে আসলে সাইবার ক্রাইম ইউনিট চট্টগ্রামে অভিযোগও দাখিল করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আল্লামা আনাস মাদানী বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই আমার নামে ভূয়া আইডি খুলে অপ- প্রচার চালাচ্ছে।

আল্লামা আনাস মাদানীর একটি ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ রয়েছে যার লাইক সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার। এটি ছাড়া বাকি সব অাইডি, পেইজ ফেইক।
ফেক (ভুয়া) আইডি গুলো লিংক

কে বা কাহারা আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করে ফেক (ভূয়া) আইডি খুলে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ কথা ফেক (ভূয়া) আইডির মাধ্যমে ছড়াচ্ছে, তাই আমি প্রশাসনের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছে দুষ্কৃতকারীদের বিরোধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য মামালার প্রস্তুতি নিয়েছি।

অবিলম্বে বিষয়টি ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ফেক (ভূয়া) অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।