বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
বাঁশখালীর গণ্ডামারায় নির্মানাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট বেসরকারী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টে পুলিশের গুলিতে ৭জন শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় গণ্ডামারার রাস্তাঘাট দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে শ্রমিক হত্যাকান্ডের নির্মম ট্রাজেডির এক সপ্তাহ পর রবিবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৩ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন,’সরকার পুলিশের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই পুলিশ ঘটনায় মুখ খুলতে পারছেন না। সরকার ১৬ বছরে যে উন্নয়ন করেছে তা গণ্ডামারায় ভেসে উঠেছে। এত বড় প্রকল্প অথচ গন্ডামারায় রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি গন্ডামারার বেহাল রাস্তাঘাটে প্রকাশ পাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন,’ম্যাজিষ্ট্রেটের হুকুম ছাড়া শ্রমিককে পুলিশ গুলি করে হত্যার ঘটনাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রয়োজন। পুলিশ স্বীকার করেছে ম্যাজিষ্ট্রেটের হুকুম ছাড়া তারা শ্রমিকের ওপর গুলি করেছে। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বীকার করার রেকর্ড আছে। পুলিশের সাথে সাথে একটি সিন্ডিকেট বাহিনীও গুলি করেছে। শ্রমিকদের নির্যাতন নিপীড়ন করছে। ওই সিন্ডিকেট বাহিনীকে খুঁজে বের করতে হবে। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে, কারণ নিহত ১৮ বছরের শ্রমিকরা আরও ৪০ বছর বেঁচে থাকত। বেঁচে থাকলে বহু আয় রোজগার করত। কয়লা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কিছুই নয়।’

বাঁশখালী এসেই দুপুরের দিকে জাফরুল্লাহ চৌধুরী সহ পরিদর্শন দলের সদস্যরা প্রথমে গন্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় প্রকল্পের চীফ কো অর্ডিনেটর ফারুক আহমদের সাথে কথা বলেন। তিনি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও তার সাথে আসা প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

এসময় জাতীয় বিদ্যুৎ-গ্যাস-তেল-বন্দর রক্ষা কমিটির আনু মুহাম্মদ,আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হুমায়ুন কবির এবং বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল কবীর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ, রাষ্ট্র চিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইউম, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান ,শাহেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাছির, মোজ্জাফর আহমদ, ছৈয়দুল আলম, ফরিদ আহমদ, মোহাম্মদ হাশেম, হাসান মারুফ, সেলিম নুর প্রমুখ।