সাইদুল ইসলাম ফরহাদ :
বাংলাদেশে করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পথশিশুরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বা মাস্ক ব্যবহারের সঙ্গতি তাদের নেই৷ খাদ্য ও কাজের সংকটেও আছে তারা।
কক্সবাজার স্টুডেন্ট ইউনাইটেড এর করোনার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ৪৫২ জন পথশিশুর মধ্যে একটি জরিপ করে৷ কক্সবাজার শহরের বেচে নেয়া এই শিশুদের জরিপ থেকে জানা যায়, তাদের কেউই মাস্ক ব্যবহার করে না৷ তারা মনে করে, করোনা ধনীদের রোগ, এটা গরিবদের হয় না৷ করোনা সম্পর্কে অসচেতন এই শিশুরা নিয়মিত খাবারও পায় না৷ অনেকে খাবার বিতরণ করলেও পথ শিশুরা তা সবসময় পায় না৷ তাদের কাজ নেই৷ তাদের কেউ কোভিড আক্রান্ত কিনা তা-ও তারা বুঝতে পারে না৷ তারা মনে করে, সর্দি হয়েছে৷

কক্সবাজার পথশিশুদের জন্য আলাদা কোনো চিকিৎসার উদ্যোগও নেই৷ তাদের পক্ষে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নেয়াও ভীষণ কঠিন৷ অন্যদিকে সরকারি বা বেসরকারি কোনো পর্যায়েই পথ শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য রাখা হয়নি৷জেলা প্রশাসক বলছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো পথ শিশু মারা গেছে এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই৷

স্টুডেন্ট ইউনাইটেড এর সদস্য আজিম বলেন, ‘‘আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে করোনার সময় এই পথশিশুদের খাদ্য, চিকিৎসা এবং আশ্রয়ের একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম৷ আমরা বলেছিলাম, সরকার চাইলে আমরা এটা সমন্বয় করতে পারি৷ সরকার খাদ্য দিক। আমরা যে শিশুদের পরিবার আছে তাদের পরিবারে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগের কথাও বলেছিলাম৷ তিনি বলেন, ‘‘এখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এই করোনায় পথ শিশুদের, কাজ নেই, খাবার নেই, থাকার জায়গা নেই৷ তারা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে৷’’