মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া:
মহামারী করোনা ভাইরাস জনিত লকডাউনের কারণে পত্রিকা বেচা বিক্রি বন্ধ থাকার ফলে আয় রোজগারের সুযোগ না থাকাতে পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা।

৫৮ বছর বয়সী উখিয়া সংবাদ বিতানের মালিক আমিন উল্লাহ জানান, তার কোনো স্থায়ী দোকান নেই। ফুটপাতে বসে পত্রিকা বিক্রি করে কোনো রকম দিনাতিপাত করতো, বর্তমানে করোনা ভাইরাস জনিত লকডাউন কারণে আট সদস্যের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। রমজান মাস হওয়ার ফলে নিদারুন কষ্ট হচ্ছে। তারপর ও খেয়ে না খেয়ে রোজা রাখছেন।

উখিয়ার আরেক হকার জাফর আলম উখিয়া জানান, জীবনে এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি। পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। ছেলে মেয়ে গুলো খাবারের জন্য কাঁদে কিন্তু মুখে খাবার তুলে দিতে পারিনা।

তিনি বলেন, এ ভাবে উখিয়ার বেশ কয়েকজন হকার মানবেতর জীবনযাপন করছে। এখনো কেউ তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় নি। সরকারি বা বেসরকারী কোনো ত্রাণ সামগ্রী ও পায়নি।

উখিয়া হকার সমিতির সভাপতি একরাম জানান, কোভিড-১৯ কারণে পত্রিকা গুলো বন্ধ রয়েছে। যার ফলে হকারেরা অনাহারে অর্ধাহারে সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। তিনি সরকারি বেসরকারি ভাবে সকলকে তাদের পাশে থাকার অনুরোধ করেছেন।

এ ব্যাপারে উখিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণত সম্পাদক কমরুদ্দিন মুকুল বলেন, পত্রিকা বিক্রি করে যে হকারদের সংসার চলে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়াতে সারাদেশে লকডাউনের পাশাপাশি পত্রিকাগুলো বন্ধ রয়েছে, যার ফলে হকারেরা পত্রিকা বিক্রি করে পরিবারের ভরনপোষণ করা এখন অসম্ভ।

তিনি পত্রিকার মালিকসহ বিত্তবানদের তাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহবান জানান।