মহেশখালী সংবাদদাতাঃ
সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীতে অত্যাধুনিক কৃষিযন্ত্র ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ১৪ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান নিজেই কৃষি উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিনের নিকট যন্ত্রটি হস্তান্তর করেন।
জাপানের ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দী করার আধুনিক যন্ত্র।
যেটি হস্তান্তরকালে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই, উপজেলা কৃষি অফিসার মুমিনুল হক, ছোট মহেশখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার এনামুল করিমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, কৃষি অফিসার সৌরভের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অনুপ্রেরনায় কম্বাইন হারভেস্টার নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তরুণ উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন। এ জন্য তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
হেলাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। আমি নিজেকে ‘কৃষক’ পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমার সেবার দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত।
চাষাবাদে আগ্রহী করতে সরকার বিনামূল্যে সার, কীটনাশক, বীজ, কৃষি উপকরণ বিতরণ করে যাচ্ছেন। সহজশর্তে, বিনাসুদে ঋণ বিতরণের মাধ্যমে কৃষকদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ফসল কাটার মৌসুমে দেশে শ্রমিক সংকট থাকে।
ফলে ফসল কাটতে কৃষকের বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হয়। এতে ফসলের খরচ বেড়ে যায়। এ সমস্যা সমাধানে কম্বাইন হারভেস্টার ভূমিকা রাখবে। সরকারের এ উদ্যোগের ফলে কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক উন্নতি হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌরভ বলেন, বাংলাদেশের জমি ও ফসল উপযোগী অত্যাধুনিক সেন্সর বিশিষ্ট ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে কাঁদার ও শুয়ে পড়া ধান/গম কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দী করা যায়। এক একর জমির ধান/গম কাটতে সময় লাগে মাত্র এক ঘণ্টা।
আর এতে জ্বালানি খরচ হয় মাত্র ৮-১০ লিটার ডিজেল। প্রতি একরে খরচ বাদে লাভ হয় ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। এতে খরচ বাঁচে ৬১ শতাংশ ও শ্রম বাঁচে ৭০ শতাংশ।
এ হারভেস্টার দিয়ে দিনে প্রায় ৬-৭ একর জমির ধান কাঁটা যায়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন কৃষক উপকৃত হবে অন্যদিকে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।