আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও :

কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানাধীন ঈদগাঁও বাজারে মোবাইল ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে দোকানদার কিশোর।মোটর সাইকেলবাহী ছিনতাই চক্রের পাঁচ সদস্য বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে বাজারের কামাল টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইয়ের শিকার কিশোর মোঃ আনাস (১৮),পিতা- নুরুল হক,সাং-পাহাশিয়া খালী,ইসলামাবাদ জানান, সে তার কর্মস্থল ঈদগাঁও বাজার ডিসি সড়কের ছাগল দোকানস্থ কামাল টাওয়ারের কুলিং কর্ণার থেকে সেহেরি খেতে হোটেলে যাওয়ার জন্য বের হয়।টাওয়ারের সামনে পৌছলে হঠাৎ আগে পিছু-দু’টি মোটর সাইকেল আসে।এর মধ্যে আগেরটিতে দুইজন ছিল।ঐ মোটর সাইকেলটি কৃষি ব্যাংকের সামনে থামে।পেছনের অ্যাপাচি ব্রান্ডের লাল রংয়ের মোটর সাইকেলটিতে তিনজন ছিল। এটা হঠাৎ তার সামনে থামে এবং তারা এত রাতে তাকে এখানে কি বলে প্রশ্ন করে। এসময় হঠাৎ ও-ই মোটর সাইকেল থেকে একজন নেমে হঠাৎ তাকে পেছন থেকে শার্টের কলার ধরে টান মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় আরো একজন নেমে তাকে উপুর্যুপরি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে মারধর করে ছুরিকাহত করে অনেক ধস্তাধস্তির পর তার হাতে থাকা মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়।এরপর সামনে থামা মোটরসাইকেলটিসহ দু’টিই পশ্চিম দিকে চলে যায়।এরমধ্যে একটি জাগির পাড়ার দিকে এবং অপরটি বাজারের দক্ষিণ দিকে চলে যায়। এসময় তার ডাকে বাজারে পাহারারত এক প্রহরি ইউনিয়ন ব্যাংকের সামনে মোটর সাইকেলটি থামানোর চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়।ছিনতাইয়ের শিকার কিশোরের মুখে ও গলায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। এদিকে ছিনতাইস্থলে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা থাকায় ব্যাবসায়ীদের দাবি, ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা অনুসন্ধান করলেই বেরিয়ে আসতে পারে ছিনতাইয়ের ভিডিও ক্লিপ।তাই বাজারের ব্যাবসায়ী ও সচেতন জনগণ অবিলম্বে সংঘবদ্ধ এ ছিনতাই চক্রকে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনার পর অনেক ব্যাবসায়ী ও সচেতন লোকজন জানান,এ ছিনতাইকারী চক্রের দু’টি মোটর সাইকেল রয়েছে এবং তাদের সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অসংখ্য মোটরসাইকেল ছিনতাই,মোবাইল ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের পেছনে এলাকা ভিত্তিক কিছু সোর্স এবং তাদের রক্ষাকারী কিছু দালালও রয়েছে। তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল গুলিও অবৈধ। এছাড়া তারা অধিকাংশ সময় নাম্বার বিহীন মোটরসাইকেল ছিনতাই করে তাদের কোন সদস্যের গাড়ি দাবি করে নয় ছয় কাগজ দেখিয়ে বিভিন্ন কলাকৌশলে জিম্মি করে মোটর সাইকেল মালিক থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে মোটর সাইকেলটি দিয়ে দেয়।নয়ত একেবারে তা গায়েব করে ফেলে।তাই বড় ধরণের ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করছে সচেতন মহল।