রকিয়ত উল্লাহঃ

সারাদেশে সরকারের ঘোষিত লকডাউনে তৃতীয় দিনে মহেশখালীতেও চলছে ঢিলেঢালা লকডাউন। কোথায়ও কোথায়ও প্রশাসনের তৎফরতা দেখা দিলেও অনেকাংশে নেই প্রশাসনের নজরদারি। প্রথম লকডাউন প্রশাসনের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যকর ভূমিকা দেখা দিলেও এবারে লকডাউন পালনে চেয়ারম্যান, মেম্বারদের তেমন ভূমিকা মাঠে দেখা যাচ্ছে না। আর এই সুযোগে জীবিকার তাগিদে সরকারের আইন অমান্য করে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে রোজগারের জন্য নেমেছে মহেশখালীর কিছু সিএনজি চালক। তারা জীবিকার তাগিদে জরিমানার কথা মাথায় রেখে ঝুঁকি নিয়ে পাচ্ছে না যাত্রী। আর যাত্রীর জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে চালিয়াতলী টু মাতারবাড়ি সড়কের চিতাখোলায় অন্তত ১৫টি সিএনজি। যাত্রী না পাওয়ায় তারও হতাশ। কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলার সিএনজি ড্রাইভার রিদুয়ান। চালিয়াতলী টু মাতারবাড়ি সড়কের চিতাখোলায় যাত্রীর অপেক্ষায় আছে২ ঘন্টা। জুমার নামাজের পর বউয়ের তাড়নী খেয়ে বাজার আনতে বলায় সিএনজি নিয়ে বের হউন জীবিকার তাগিদে। যদি একটা ভাড়া মারতে পারে তাহলে বাজার নিয়ে ইফতার নিয়ে বাড়িতে ফিরবে। কিন্তু ২ ঘন্টা বসে থেকেও যাত্রী নেই। তিনি আরও বলেন সরকার লকডাউন দিলেও আমাদের পেট চলে না। পাশে দাড়িয়ে থাকা আরেক ড্রাইভার ওসমান বলেন, সকাল থেকে বের হয়ে ২ জন নিয়ে একটা টিভ মেরেছি।পেয়েছি ২০০টাকা। যা দিয়ে গ্যাস বা নিজের খরচ উঠছে না। অন্য একজন ড্রাইভার এসে বলেই পুলিশ দেখে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে দ্রুত পালিয়েছি। ধরা পড়লে আবার জরিমানার ভয়। এভাবেই কি আর হয়। এভাবেই লকডাউন চললে না খেয়ে বউ বাচ্চা নিয়ে মরে যাব।
এইভাবে যদি লকডাউন আরও বাড়ালে সাধারন জনগণ না খেয়ে মরে যাবে। এমতাবস্থায় সরকারের সহযোগিতাও কামনা করেন সাধারণ মানুষ।