নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় করোনার প্রকোপ ঠেকাতে কড়াকড়ি লকডাউনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নাইক্ষংছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া নাইক্ষংছড়িতে কোন লোকজন তেমন চোখে পড়ে না। জরিমানা করলেন ৩ দোকানে ২ হাজার টাকা।আর সতর্ক করলেন ৫ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি বলেন,সরকারের নির্দেশ পালনে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। আর বাকীদের সতর্ক করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার ( ১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে নাইক্ষংছড়ি সদরের প্রবেশ মুখ নারিকেল বাগান ও বিজিবি স্কুল এলাকায় নাইক্ষংছড়ি থানা’র ওসি মুহাম্মদ অালমগীর হোসেন এর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়াও নাইক্ষংছড়ি থানার মোড় ও উপজেলা গেইট, বাস স্টেশন, বাজার, বিছামারা, এলাকা সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। তবে অফিসার ইনচার্জ ছাড়া এক কনষ্টেবলের একা লাঠিচার্জের কারনে ১ সিএনজি চালক সহ ২ জন আহত হয়েছে। এরা দু’জনই অতি গরীব রোজাদার। এদের একজনের নাম বদি। তিনি এ প্রতিবেককে জানান,৪ সদস্যদের সংসার নিয়ে সে খুবই কষ্টে দু দিন ধরে। তাই সিএনজি গাড়িটি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছিলো সে। কিন্ত পুলিশের উপর্যুপরি লাঠির আঘাতে তার সংসারের চাল,ডাল,লবন ও মরিচ কেনার স্বপ্ন মাটিতে মিশে গেছে। বিষয় নিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন,কাউকে পেঠানো, নাজেহাল করার জন্যে কাউকে বলা হয়নি। তবুও এই মাত্র শুনলাম, দেখি।