আলমগীর মানিক,রাঙামাটি:

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে পহেলা বৈশাখ ও পবিত্র রমজানের প্রথমদিনে সরকার ঘোষিত দ্বিতীয় দফার লকডাউনের শুরুতে পার্বত্য রাঙামাটি শহরবাসীর সার্বিক জীবনযাত্রা ও বাজারদর সচিত্র পর্যবেক্ষণে বাজার মনিটরিং করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান। বুধবার সকাল থেকে দুপুুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসক প্রথমে তবলছড়ি বাজার দর মনিটরিং করে ব্যবসায়িদের শর্তক করে দেন। বাজার ঘুরে ঘুরে মুদি দোকান, কাচা বাজার, মাছ বাজার, গরু মাংস ও বয়লার মুগির দাম তদারকি করেন। এসময় তিনি ব্যবসায়িদের দ্রব্যমূলের‌্য দাম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে অনুরোধ করেন। যদি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে কেউ দ্রব্যমূল্য বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ প্রদান করেন। দ্রব্যমূল্যের তালিকা দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রাখতে ব্যবসায়িদের পরামর্শ দেন।

এসময় জেলা প্রশাসক লকডাউন পরিস্থিতিতে রাঙামাটির সার্বিক চিত্র নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, লকডাউনের প্রথমদিনে রাঙামাটি শহরে দ্রব্যমূল্য ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় লোকজন সথেষ্ট পরিমানে লকডাউনে সারা দিয়েছে। সবাই মাক্স পরতে দেখা গেছে। আমি তবলছড়ি বাজার,রির্জাভ বাজার,বনরুপা বাজার ও ভেদভেদি বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি দ্রব্যমূল সরকারের নির্দেশ মোতাবেক বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ি আছে যারা সুযোগে সৎ ব্যবহার করতে চায় তাদের আমি শর্তক করে দিয়েছি। তার পরও যদি উল্টাপাল্টা করে মাঠে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছে তাদের জানালে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মামুন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আল মামুন মিয়া,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ, জেলা প্রশাসনের নেজারত কালেক্টর(এনডিসি) মোঃ বোরহান উদ্দিন মিঠুসহ ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ।

অপরদিকে কোতয়ালী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ কবির হোসেন জানিয়েছেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন পরিস্থিতি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা মানতে স্থানীয় জনসাধারণকে পুলিশের পক্ষ থেকে উদ্বুব্ধকরণ সচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। আইন মানতে এবং নিজেদেরপ্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিতেও নাগরিকদের প্রতি আহবান জানানো হচ্ছে।

তবলছড়ি বাজারে ক্রেতাদের কাছ থেকে দ্রব্যমূল্যের দাম বেশী রাখায় ও দ্রব্যমূল্যের তালিকা ঝুলিয়ে না রাখার দায়ে ৩ ব্যবসায়িকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ভেদভেদি বাজারে মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে না রাখার দায়ে এক ব্যবসায়িকে ১১শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। রির্জাভ বাজার ও বনরুপা বেশী দামে মালামাল বিক্রির দায়ে ২ ব্যবসায়িকে ২১শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। এবং ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জরিমানা ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুম্পা ঘোষ।