ছোটন কান্তি নাথ :

দ্বিতীয়দফায় আজ বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ কার্যকরভাবে চলছে কী-না তা সরজমিন প্রত্যক্ষ করতে চকরিয়ায় এসেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। তিনি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরজমিন চকরিয়ায় লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

জেলা প্রশাসক প্রথমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার খুটাখালী বাজার এলাকায় লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এর পর তিনি পর্যায়ক্রমে ডুলাহাজারা, ফাঁসিয়াখালী, চকরিয়া পৌরসভার বাস টার্মিনাল, চিরিঙ্গা সোসাইটি, পুরাতন বাসস্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন পরিস্থিতি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নানা দিক-নির্দেশনাও প্রদান করেন। এ সময় সাথে ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন, চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের, ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর, থানার অপারেশন অফিসার মো. মোজাম্মেল হোসাইনসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আনসার সদস্য এবং অসংখ্য পুলিশ।

উল্লেখ্য, প্রথমদফার লকডাউন কার্যত কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ ছিল। প্রশাসনের অনেক তৎপরতার পরও জনগণের মধ্যে সচেতনতার অভাবসহ নানা কারণে ভিড় লেগেই ছিল চকরিয়া পৌরশহরে। তবে দ্বিতীয়দফার সর্বাত্মক লকডাউনের চিত্র ভিন্নভাবেই দেখা যাচ্ছে। জরুরী প্রয়োজনের লোকজনের আনাগোনা এবং একেবারে কম সংখ্যক ইজিবাইক, অটোরিক্সার চলাচল দেখা গেলেও প্রথমদফার চেয়ে এবারের লকডাউন অনেকটা কার্যকর দেখা যাচ্ছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, ‘করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক চকরিয়ায় ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সকালে কক্সবাজারের মান্যবর জেলা প্রশাসক লকডাউন পরিস্থিতি সরজমিন পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ সময় তিনি আমাদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত সর্বাত্মকভাবে লকডাউন ব্যবস্থা কার্যকর রাখতে। আমরাও মাঠপর্যায়ে লকডাউন সর্বাত্মকভাবে কার্যকর করতে মাঠে তৎপর রয়েছি।’

চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, সর্বাত্মক লকডাউক বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ৩৯ কিলোমিটার অংশে পুলিশের তিনটি চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। তন্মধ্যে উত্তর সীমান্ত আজিজনগর এবং দক্ষিণ সীমান্ত খুটাখালীতে চিরিঙ্গা ও মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। এছাড়াও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে চকরিয়া পৌরশহরের বক্সরোডে একটি এবং অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে আরো অসংখ্য চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। যাতে অন্য উপজেলা থেকে যাত্রীবাহী কোন ধরণের যানবাহন পাঁচ উপজেলার মোহনা চকরিয়ায় যাওয়া-আসা করতে না পারে।