আতিকুর রহমান মানিকঃ

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে কক্সবাজার শহরে বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহায়তায় সোমবার (১২ এপ্রিল)  জেলা শহরের রুমালিয়ার ছড়া ও কালুর দোকান বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার’র সহকারী পরিচালক মোঃ ইমরান হোসাইনের নেতৃত্বাধীন টীম। কিন্তু যথারীতি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে রান্নার গ্যাস বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

উপরোক্ত অভিযানে কালুর দোকান বাজার এলাকার মা বাবার দোয়া মাংস বিতানকে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্য রাখার অপরাধে ১ হাজার টাকা, খোরশেদ পোল্ট্রিকে অতিরিক্ত মূল্য রাখা ও ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করার অপরাধে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

একই অভিযানে রুমালিয়ারছড়া বাজার এলাকার আলমগীর পোল্ট্রিকে অতিরিক্ত মূল্য রাখা ও ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করার অপরাধে ৩ হাজার টাকা, ভূইয়া পোল্ট্রি কে অতিরিক্ত মূল্য রাখা এবং ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করার অপরাধে ৩ হাজার টাকা, আনোয়ার পোল্ট্রি কে অতিরিক্ত মূল্য রাখা ও ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করার অপরাধে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
এসময় কালুর দোকান বাজার এবং রুমালিয়ারছড়া বাজার এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ব্যবসায়িদের মাঝে ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কে প্রচারনা করা হয়।
অভিযানকালে ব্যাবসায়িদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মূল্য বেশি না রাখা, অমুমোদনবিহীন পন্য বিক্রি না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অভিযানে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করেন এপিবিএন-১৪ এর এক দল চৌকস সদস্য।
জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার’র সহকারী পরিচালক মোঃ ইমরান হোসাইন।

তবে ভোক্তারা জানান, এলপি গ্যাসের দাম লাফিয়ে বাড়তে বাড়তে হাজারে ঠেকেছে অনেক আগেই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এলপি গ্যাসের দোকানগুলো কোন প্রকার অভিযানের বাইরে থেকে গেছে। ফলে ৬০০ টাকা দামের গ্যাস বিক্রি হচ্ছে প্রায় দ্বিগুন দরে। এই গ্যাস সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে আছে জেলাবাসী।
আসন্ন রমজান মাসে গ্যাসের মূল্য স্হিতিশীল রাখতে গ্যাস বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানসমূহে অভিযান পরিচালনার দাবী জানিয়েছেন গ্রাহকরা।