এম.এ আজিজ রাসেল:
শহরের কস্তুরাঘাটে প্যারাবন নিধান করে চলছে বাঁকখালী নদী ভরাট। কয়েকটি সিন্ডিকেট রাতারাতি নদী ভরাট করে তৈরি করছে বাড়ি—ঘর। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা।
জানা যায়, একসময়ের মহেশখালী পারাপারের একমাত্র কস্তুরাঘাট এখন আর নেই। বর্তমানে কক্সবাজার—মহেশখালী পারাপারের জেটিঘাটটি নুনিয়ারছড়ায়। তাই কস্তুরাঘাট এখন অচল। কিন্তু বর্তমানে কস্তুরাঘাটের উপর লুলোপ দৃষ্টি পড়েছে দখলবাজদের। দিন দিন দখলবাজদের পেটে চলে যাচ্ছে কস্তুরাঘাটে বাঁকখালীর দু’পাশ। প্যারাবন নিধন করে চলছে বাঁকখালী নদীর পাড় ভরাট। ইতোমধ্যে নদী ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে ৫—৬টি টিনশেটের বাড়ি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কস্তুরাঘাটে চলছে প্যারাবন নিধন ও বাঁকখালী ভরাটের মহোৎসব। পশ্চিম পাশে নদী ভরাট করে গড়ে উঠেছে ২—৩টি ঝুপড়ি বাড়ি। একটি বাহিনীর কয়েকজন সদস্য ওই ঝুপড়ি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে। তার পাশেই রয়েছে আরেক ব্যক্তির ঝুপড়ি ঘর। এটি ভাড়া দেয়া হয়েছে। পূর্ব পাশে নতুন করে প্যারাবন নিধন করে নদী ভরাট করছে টেকনাফ হ্নীলার ইব্রাহিম ও নুনিয়ার ছড়া এলাকার জাহিদ নামের দুই ব্যক্তি। তাদের উত্তর—দক্ষিণ পাশে রয়জান নামের এক মহিলা নিজের মেয়ের জন্য নদী ভরাট করে তৈরি করেছেন নতুন টিনশেট বাড়ি। ওই মহিলার পরিবার ১—২ বছর থেকে ঝুঁপড়ি ঘর নিমার্ণ করে বসবাস করছে। তবে তিনি দাবি করেন, নদীর এই জমি তাদের নামে খতিয়ানভুক্ত। একসময় নদীর জমির মালিক ছিল তৎকালীন কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক মিয়া। পরে মোস্তাক মিয়া ওই জমি বিক্রি করেন মহেশখালীর ৪ নং শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন চৌধুরীকে। জমির মালিকানা পরিবর্তন হতে হতে একসময় ক্রয় সুত্রে জমির মালিক হন মৃত সিরাজ মিয়া। তিনি মারা যাওয়াতে বর্তমান জমির মালিক হন তার স্ত্রী রয়জান খাতুন। আবার তিনি সেই জমির কিছু অংশ বিক্রি করেন ইব্রাহিম এবং এডভোকেট জাহিদুল হাসানকে। রয়জান খাতুন আরও বলেন, এই প্যারাবন ধ্বংস না করেই ঘর নির্মাণ করছি।
কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে প্যারাবন নিধন করেই বাঁকখালী নদী ট্রাক দিয়ে বাইরে থেকে মাটি এনে চারটা ঘর নতুন করে নির্মাণ করতে দেখা গেছে। এতে ভরাট হচ্ছে বাঁকখালী নদী। ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের