মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু:
কক্সবাজারের রামু উপজেলার দূর্গম পাহাড়ী জনপদ সন্ত্রাসী, ডাকাত ও অপহরণ কারীদের ক্রাইমজোন হিসাবে পরিচিত রামুর ঈদগড়, বড়বিল, ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কক্সবাজারের দূর্গম ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ গত ৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১ টায় হঠাৎ করে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এতে চরম আতংকে পড়েছে ঐসব এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের ঢালায় চেয়ারম্যান ফিরুজ আহমদ ভুট্টু’র নেতৃত্বে প্রতি দিন সন্ধ্যায় পাহারা বসিয়ে ডাকাত প্রতিরোধের চেষ্টা করা হলেও দিনের বেলায় সড়কটি অরক্ষিত থাকে ফলে যে কোন মুহুর্তে ঈদগড়ে বসতবাড়ী ও সড়কে ডাকাতি অপহরণসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
জানা যায় রামু উপজেলার একমাত্র পাহাড়ী জনপদ ঈদগড় ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে এক সময় সড়ক ও বসতবাড়ীতে গণহারে ডাকাতি,অপহরণ হত। এমন কি এক সময় ডাকাত দল দিনদুপুরে ঈদগড় বাজারে হানা দিয়ে লুটপাট চালিয়ে দোকানপাট জালিয়ে দিয়েছিল।পুলিশ সদস্য সুসম চাকমা জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জনি দিনমজুর মোঃকালু মাস্টার নুরুচ্ছপা ও ডাঃ মহি উদ্দীনসহ অসংখ্য অসহায় মানুষকে ডাকাতের হাতে জীবন দিতে হয়েছে। ঈদগড়ের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নয়নের স্বার্থে সরকার তখন ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করেছিল।সে থেকে ডাকাতি অপহরণ কিছুটা কমে গিয়েছিল। পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানী জানান,আমার এলাকার হাজার হাজার মানুষ ঐ সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। এ সুযোগে অনেক নিরীহ মানুষ অপহরণের স্বীকারও হয়ে ছিল। তাই বর্তমানে বাইশারী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ চলাচলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এজন্য তিনি ঈদগড়ে দ্রুত পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবী জনান। স্থানীয়রা
জানান গত ৬ এপ্রিল রাতে হঠাৎ পুলিশ ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার খবরে সাধারন মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছেন।
ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহাম্মদ ভুট্টোর নেতৃত্বে এলাকাবাসী ঐদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ৯/১০ টা পর্যন্ত প্রতি দিন ডাকাত প্রতিরোধে ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের ঢালায় ডিউটি শুরু করেছে। চেযারম্যান ফিরোজ আহাম্মদ ভুট্টো জানান ঈদগড় ইউনিয়নের ও পার্শ্ববর্তী বাইশারী, বড়বিল গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ক্যাম্প পুনরায় স্থাপনের দাবী করেছেন তিনি ও এসব এলাকার মানুষ।
হঠাৎ পুলিশ প্রত্যাহারের বিষয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আজমিরুজ্জান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়নি। জনবল বৃদ্ধি করতে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশে আপাতত থানায় চলে এসেছে। জনবল বৃদ্ধি করে পুনরায় পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হবে।
কবে চালু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন সেটা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানবে।
ঈদগড় কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের সেক্রেটারি ডাঃ ইব্রাহিম বাবুলসহ এলাকাবাসী জনস্বার্থে ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পে পুনরায় চালুর দাবী জানান। ঈদগড় ক্যাম্পে পুলিশ না থাকলে যে কোন মুহুর্তে ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক ও বসতবাড়িতে ডাকাতি অপহরণসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশংকা করেছেন এলাকাবাসী।