সিবিএন ডেস্ক:
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলার জন্য প্রতিবছর ১০০ কোটি ডলার তহবিলে অর্থায়ন করার কথা উন্নত বিশ্বের। কিন্তু এ বিষয়ে অগ্রগতি খুবই কম। মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরিকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জন কেরি সব জায়গায় সফল হয়েছেন। আমি আশা করি, প্রতি বছর ১০০ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহের কাজটি তিনি করতে পারবেন।’

মোমেন বলেন, ‘এই অর্থের ৫০ শতাংশ অভিযোজন (অ্যাডাপটেশন) এবং ৫০ শতাংশ প্রশমন (মিটিগেশন) এর জন্য ব্যয় করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এ বিষয়ে আমরা কেরিকে জানিয়েছি। এছাড়া গ্লাসগোতে কপ-২৬ এ বাংলাদেশ একটি উচ্চ পর্যায়ের সাই ইভেন্ট করতে চায়। এজন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের বনায়ন ধ্বংস করছে। তাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এর সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা দরকার বলে কেরিকে জানিয়েছি।’

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় অর্থ ও প্রযুক্তি প্রয়োজন এবং বাংলাদেশ আশা করে, যুক্তরাষ্ট্র সেটি যোগান দেবে বলে তিনি জানান।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জন কেরি বলেন, ‘জো বাইডেনের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র আবারও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে ফেরত এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখিত যে, আগের মার্কিন রাষ্ট্রপতি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু আমরা আবারও ফেরত এসেছি।’

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য সবদেশকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ, এটি একক কোনও দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ মাসে শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করেছেন বলে তিনি জানান।

কেরি বলেন, ‘এই সম্মেলনে ধনী ও বড় দেশগুলোর পাশাপাশি ভঙ্গুর দেশগুলোরও সুযোগ থাকবে তাদের কথা বলার এবং আমরা তাদের কথা শুনবো।’

জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হলে কারও কোনও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে না বরং উপকার হবে। অর্থনীতিতে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে জন কেরি ঢাকায় আসলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন তাকে অভ্যর্থনা জানান। মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি কেরি প্রধানমন্ত্রীকে ২২-২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ‘লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটে’ অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান।