সিবিএন ডেস্ক:
হাঠৎ হামলা হলে তা কীভাবে মোকাবেলা করবেন তার মহড়া দিচ্ছেন কোতোয়ালী থানার দুই পুলিশ।

হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পরপরই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলার সব থানা পুলিশকে বাড়তি সতর্কতায় রাখা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও সক্ষমতা বাড়াতে নেয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। সেই সঙ্গে থানার মূল ফটক বন্ধ রেখে পরিচয় নিশ্চিত হয়েই থানায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি কনস্টেবল।
এছাড়া ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিটি থানায় বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হচ্ছে দাঙ্গা পুলিশকে। কেননা এরআগে হেফাজতের তাণ্ডবে বি-বাড়িয়া, নারায়নগঞ্জ ও হাটহাজারীসহ বিভিন্ন স্থানে থানা ও সরকারি স্থাপনায় হামলা হয়। মূলত হামলাসহ যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় বুধবার রাত থেকে প্রত্যেক থানা ফাঁড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নগরের জামায়াত-শিবির ও হেফাজত অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থায় থানা, ফাঁড়ি ও সরকারি সব স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাতেই বেশ কয়েকটি থানা ও ফাঁড়ি পরিদর্শন করেছেন সিএমপি কমিশনার নিজেও।

একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বুধবার রাত থেকে সকল ফাঁড়ি ও স্থাপনায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রতিটি স্থাপনার গেট বন্ধ রাখা হচ্ছে। কেউ প্রবেশ করতে চাইলে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়েই তল্লাশি পেরিয়ে থানায় যেতে হচ্ছে। আগে গেটে একজন কনস্টেবল থাকলেও এখন সেখানে দুজন দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। এছাড়া থানা ও আশপাশে বাড়তি ফোর্স টহলে রাখা হয়েছে।

ইতোমধ্যে থানায় কোনও ধরনের হামলা হলে কীভাবে তা মোকাবেলা করা হবে বেশ কয়েকটি থানায় সেই মহড়াও হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও সক্ষমতা বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। থানায় কোনও ধরনের আক্রমণ হলে তা মোকাবেলায় ঘণ্টা বাজানো হয়। সেই সময় কে কোন দায়িত্ব পালন করবে সেটাও পরখ করা হচ্ছে। এছাড়া ফোর্সদের অস্ত্র ব্যবহারের দক্ষতাও যাচাই করা হচ্ছে। কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোর হাতে তা দমন করার জন্য যা যা করার সবই করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।

জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘আমরা কোনও হামলার আশঙ্কা করছি না। তবে যে কোনও ধরণের হামলা মোকাবেলায় থানা পুলিশের পেশাদারিত্ব ও সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। নতুন কৌশল শেখানো হচ্ছে। থানা ও ফাঁড়ির সব সদস্যকে আগের থেকে সর্তক অবস্থায় রাখা হয়েছে। আমরা যে কোনও ধরণের হামলা মোকাবেলার পাশাপাশি হামলাকারীকেও কঠোরহস্তে দমন করব। আমারা সেই প্রস্তুতিই নিচ্ছি।’

একই প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আফজারুল হক টুটুল বলেন, ‘আমরা আগের থেকে থানা ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলেছি। তাদের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছি। যে কোনও ধরনের হামলা মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত।’

এরআগে বুধবার সকালে পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে অংশ নেন আইজপি বেনজীর আহমেদ। ওই সময়ে তিনি হেফাজত আন্দলনের নামে কোনও ধরনের নৈরাজ্য করলে তা শক্ত হাতে দমনের নির্দেশ দেন। একই সাথে সরকার দলীয় নেতারাও হেফাজতকে মোকাবেলায় কঠোর বার্তা দেন। -সিভয়েস