বার্তা পরিবেশকঃ
কক্সবাজার সদর উপজেলা জালালাবাদ ইউনিয়নে “জমিন এর বিরোধ নিয়ে শিক্ষক শফিক আহমদ কে আঘাত করা হয়েছে বলে শিরোনামে গত বুধবার (৬ এপ্রিল) অনলাই নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হলে আমি রোকেয়া বেগমের দৃষ্টিগোচর হয়। সেক্ষেত্রে আমার বক্তব্য হল: বর্ণিত সংবাদটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক, পূর্বপরিকল্পিত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাই আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও কাউকে এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। যেহেতু উক্ত জমির আমার স্বামীর বৈধ কাগজপত্র রয়েছে,আমার পরিবার কারো জমি দখল, কাউকে মারধর করিনি।

গত দশ দিন ধরে আমরা অসুস্থ্য, আমি ও আমার স্বামী দুইজনে বৃদ্ধ লোক হয় এবং আমার প্রতিবন্ধী ছেলে ইয়াছির বসত বাড়িতে বেড়া দেওয়ার জন্য বাঁশ বাগান থেকে একটি বাঁশ কাটে। এমন সময় আমার দেবর মাষ্টার শফিক আহমদ দা নিয়ে এস তাকে আঘাত করেন। এমন সময় জোর গলার আওয়াজ শুনে মাষ্টারের ছেলে আশরাফ আজিজ দৌড়ে এসে বাবার কাছ থেকে দা ছিনিয়ে নিয়ে ইয়াছিরকে কুপানোর জন্য চেষ্টা করিলে মাষ্টার শফিক আহমদ ছেলেকে বাঁধা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে বাপ বেটা দস্তা দস্তি করার সময় মাষ্টার এর হাতে আচড় লাগে। এবং আমি ও আমার স্বামী মিলে যখন আমার প্রতিবন্ধী ছেলে কে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করতে যায়। তার পরিবারের সদস্য সবাই দা, লাঠি, রড দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমরা আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মাঠিতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ঘটনা স্থল থেকে আমাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেয় ।

উল্লেখ্য যে, গত ২১শে ফেব্রুয়ারী সকাল দশটার সময় আশরাফ আজিজ এক দল সন্ত্রাসী নিয়ে হঠাৎ এসে প্রতিবন্ধী ইয়াছির আরফাতের নতুন নির্মিত বসত ঘরটি ভেঙ্গে দেয়, আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা। আমরা নিরূপায় হয়ে ৯৯৯ নাম্বারে কল করলে ঘটনা স্থলে প্রশাসন এসে আমাদের কে উদ্ধার করে এবং চিকিৎসা নেওয়ার জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরন করে।

ঘটনার বিষয় নিয়ে ঈদগাঁও থানাতে একটি এজাহার দাখিল করি। তদন্ত অফিসার স্হানীয় চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে শালিসটি সমাধান করার জন্য বলে। এবং স্হানীয় চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ শালিসে বসে সমাধান করবে বলে উভয় পক্ষকে আশ্বস্ত করেন। আশরাফ আজিজ চেয়ারম্যান এর কথা অমান্য করে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমার বসতঘরে ইয়াবা ও অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়ে প্রশাসন এর হাতে তুলে দিবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে এবং আমার পরিবার ও আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এমতাবস্থায় আপনাদের ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে জীবনের নিরাপত্তা চাই। তিলকে তাল করে আমাদের পরিবার বিবাহিত মেয়েদের ছবি ফেইসবুকে প্রচার করে, এলাকার মানুষের কাছে হেয়পতিপন্ন ও সম্মান ক্ষতি করে ভাল ইমেজ নষ্ট করার জন্য এ সমস্ত মিথ্যা অপকর্মগুলো করছে।

এছাড়াও উক্ত জমির সীমানা বিরোধ আগে স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে সমঝোতা বা সমাধান করার চেষ্টা করে সম্ভব হয়নি। সুতরাং সে বিষয়ে এলাকাবাসীকে বিভ্রান্ত বা ভুল না বোঝার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

অনুরোধক্রমে
রোকেয়া বেগম