মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
রোববার ৪ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৫৬৩ জনের নমুনা টেস্ট করে ৬৮ জনের টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া গেছে। বাকী ৪৯৫ জনের নমুনা টেস্ট রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহজাহান নাজির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার শনাক্ত হওয়া ৬৮ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৫ জন আগে আক্রান্ত হওয়া পুরাতন রোগীর ফলোআপ টেস্ট রিপোর্ট পজেটিভ আসে। অবশিষ্ট ৬৫ জন করোনা শনাক্ত হওয়া নতুন রোগীর মধ্যে বান্দরবানের ৬ জন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ১ জন ও বাঁশখালীর উপজেলার ১জন। বাকী ৫৫ জন রোগী কক্সবাজারের। তারমধ্যে, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৩১ জন, রামু উপজেলায় ৩ জন, উখিয়া উপজেলায় ১১ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৩ জন, চকরিয়া উপজেলায় ৩ জন, পেকুয়া উপজেলায় ৩ জন এবং মহেশখালী উপজেলার ১ জন রোগী রয়েছে।
এনিয়ে, রোববার ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো-মোট ৬ হাজার ৬ শত ৮২ জন। এরমধ্যে, গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলায় মৃত্যুবরণ করছে ৮৪ জন। তারমধ্যে, ১০ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ১’২৭%।
এদিকে, গত শনিবার ৩ এপ্রিল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ হাজার ৮৪২ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৮৮’১৪%। আক্রান্তদের মধ্যে গত শনিবার ৩ এপ্রিল পর্যন্ত হোম আইসোলেসনে রয়েছেন ৫৬৯ জন, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেসনে রয়েছেন ৮৫ জন। তারমধ্যে, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেসনে রয়েছেন ২৮ জন, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেসনে রয়েছেন ৪ জন, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেসনে রয়েছেন ২ জন, ফ্রেন্ডশিপ SARI হাসপাতালে রয়েছেন ১২ জন, রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আইসোলেসন সেন্টার সমুহে রয়েছেন স্থানীয় জনগণ ৩৪ জন এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী রয়েছেন ১২ জন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
