সিবিএন ডেস্ক:
রাতে শুয়ে ঘুম আসে না। এটা কম বেশি সবারই হয়ে থাকে। ভালো ঘুম না হলে শরীর ও মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তার প্রভাব পরের দিনের কাজের ওপরও পড়ে। তাই রাতে শান্তি মতো ঘুমানো খুবই দরকার। কয়েকটি উপায় অবলম্বন করলে রাতে শোয়ার সঙ্গেই আসবে ঘুম। সেগুলো হলো-

সঠিকভাবে ঘুমানোর ভঙ্গি বেছে নিন:
পিঠের উপর ভর দিয়ে ঘুমানো অর্থাৎ চিত হয়ে ঘুমানো অনিদ্রা মোকাবেলা করার সেরা উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম। কারণ এটি আপনার মাথা, ঘাড় ও মেরুদণ্ডকে নিরপেক্ষ অবস্থানে বিশ্রাম দেয়। যদিও ঘুমানোর এই অবস্থানটি জনপ্রিয় না। তবে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন এটি ভালো ঘুমের জন্য সর্বোত্তম পছন্দগুলির মধ্যে একটি।

এক পাশ ফিরে ঘুমানোর অবস্থানের ফলে শ্বাস প্রশ্বাস সীমিত হতে পারে৷ ফলে সকালে উঠে আপনি মেরুদণ্ডে ব্যথা অনুভব করতে পারেন৷ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৪১ শতাংশ হাঁটু ভাজ করে পাশ ফিরে ঘুমানোটা পছন্দ করে৷ যদিও এই অবস্থানটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী৷ কিন্তু অন্যদের পক্ষে ঘুমানোর এই অবস্থান খুব একটা ভালো নয়৷

ভালো ও শান্তিতে ঘুমানোর জন্য সবচেয়ে খারাপ অবস্থান পেটের উপর ভর দিয়ে ঘুমানো অর্থাৎ উপুড় হয়ে ঘুমনো৷ এইভাবে ঘুমলে মেরুদণ্ড সোজা রাখা কঠিন৷ যা আপনার মেরুদণ্ড এবং ঘাড় ব্যথা করে দেয়৷

পুরনো তোষক বাদ দিন:
পুরনো তোষক বাদ দিন। এটির কারণেও আপনার ঘুমের সমস্যা হতে পারে৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি তোষক সাত বছরের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়৷ কারণ সাত বছরের বেশ হয়ে গেলে সেটি আপনার শরীরকে সঠিকভাবে সাপোর্ট দিচ্ছে কিনা তা একবার পরীক্ষা করে দেখে নেবেন৷

বাজারে অনেক ধরণের তোষক আছে৷ কিন্তু আপনার শরীরের আকৃতি, স্বাস্থ্য সমস্যা এবং আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করেই সেরা তোষক কেনার চেষ্টা করবেন৷

ঘুমাতে যাওয়ার আগে লেখালেখির অভ্যাস:
ঘুমাতে যাওয়ার আগে সারাদিন আপনার সঙ্গে যে সমস্ত ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে সেগুলি লেখার জন্য নিজেকে ১৫ মিনিট সময় দিন৷ এই কৌশলটি আপনাকে ভালো জিনিসগুলিকে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে৷ পাশাপাশি আপনার চাপ এবং উদ্বেগ কমাতেও সহায়তা করবে৷ ফলে আপনি শান্তিমতো ঘুমাতে পরবেন৷

দুপুরের ঘুমটা হালকা করুন:
দুপুরে অতিরিক্ত ঘুম আপনার রাতের ঘুম নষ্ট করতে পারে৷ তাই চেষ্টা করুন দুপুরে না ঘুমানোর৷ যদি একান্তই না পারেন তাহলে হালকা ঘুমান৷