ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
পবিত্র রমজানের আগে বাজারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন।

বুধবার (৩১ মার্চ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া সুলতানার নেতৃত্বে অভিযানে শহরের বড়বাজার এলাকায় অভিযানে ১৩টি মামলায় ২৫ হাজার ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

এ সময় সতর্ক করা হয় ব্যবসায়ীদের।

এছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জারিকৃত গণবিজ্ঞপ্তি লিফলেট আকারে জনসাধারণের মধ্যে বিলি করা হয়।

স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকল্পে এবং বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসনের শক্তিশালী টিম।

কোনভাবে যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো না হয়, সে ব্যপারে সব স্তরের ব্যবসায়ীদের আহবান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন।

বিভিন্ন গণপরিবহন ধারণ ক্ষমতার ৫০ভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচলা করছে কিনা তা মনিটরিং করতে আজ অভিযান পরিচালিত হয়।

বাজারে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে স্বাস্থ্যবিধি এবং বাংলাদেশ হোটেল-রেস্তোরাঁ আইন-২০১৪ বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালিত হয়।

সমুদ্র সৈকতেও নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

সবমিলিয়ে কক্সবাজার সদরে আজ ২০ মামলায় আইন ভঙ্গকারীদের বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়। অভিযানের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত লিফলেট ও মাস্কও বিতরণ করা হয়।

সর্বস্তরের জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জেলা প্রশাসক বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত ৫৩৫৮ জন এবং করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫২ জন। আপনি বা আপনার আপনজনের কোন ক্ষতি হবার পূর্বেই সতর্ক হোন। মাস্ক পরুন, অন্যকেও মাস্ক পরতে উৎসাহিত করুন। নিজে সুস্থ থাকুন, পরিবার ও সমাজকেও সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করুন।

এদিকে বুধবার সকালে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোন পণ্যের মূল্যে স্থায়ীত্ব নাই। রমজানের আগেই লাফিয়ে বাড়ছে প্রায় সব পণ্যের দাম। শাক, সবজি, তরিতরকারি থেকে শুরু করে সকল কিছুতে বাড়তি। মাছ, মাংস ও চালের বাজার আরো গরম। অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও অসাধু সিন্ডিকেট প্রথা ভাঙতে প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে বলে অভিমত ভোক্তাদের।