গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পেকুয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘বালু উত্তোলন সংক্রান্তে সাংবাদিকদের দেখিয়ে নেওয়ার হুমকি’ প্রদান করেছি মর্মে গত ২৯ মার্চ এবং পরবর্তীতে কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। যা কোন অবস্থাতেই সত্য নয়। এই ধরণের বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে প্রকাশিত সংবাদটি ছিল অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়, ষড়যন্ত্রমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বাস্তবতা বিবর্জিত ও একপেশে।
প্রকাশিত সংবাদটি ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে বাস্তবায়িত হওয়া দেশের একমাত্র বানৌজা শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটি সংযোগ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য। রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়া একটি কুচক্রিমহল পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা তথ্যের বেসাতি ঘটিয়ে এই ধরণের সংবাদটি প্রকাশ করিয়েছে, আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে।
সেদিন মূলত স্বাধীনতার সপক্ষের স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে সহায়তা কামনা করা হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে চলমান বানৌজা শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটি সংযোগ সড়কের উন্নয়ন প্রকল্প যাতে দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করা যায়। কিন্তু পেকুয়া উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য না হয়েও মাসিক সভায় উপস্থিত হয়ে একজন কথিত সাংবাদিক বার বার সরকারী উন্নয়ন প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিশেষ মহলের পক্ষ হয়ে অবস্থান নিয়ে অবাস্তব, অগ্রহণযোগ্য, উদ্ভট তথ্য উপস্থাপন করে মাসিক সভার শৃঙ্খলা নষ্ট করে আসছেন মর্মে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা এমপি হিসেবে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সেই কথিত সাংবাদিককে সর্তক করা হয়েছিল।
এমনকি কমিটির সদস্য না হয়েও কি করে সেই কথিত সাংবাদিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় উপস্থিত হচ্ছেন তা তদন্ত করে দেখার কথা বলা হয়েছিল। অথচ সেই বক্তব্যকে সাংবাদিকদের দেখিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছি মর্মে স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তাই প্রকাশিত সংবাদটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক।
সেদিনের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোতাচ্ছেম বিল্যাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি), পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ আমন্ত্রিত বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সেদিন চকরিয়া এবং পেকুয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের আমি ব্যক্তিগতভাবে লক্ষাধিক টাকার অনুদান দিয়ে সম্মানিত করেছি।
পেকুয়ার সেই অনুষ্ঠানে সেদিন আমি কি বলেছি, তা সবারই জানা রয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, সেদিন আমি কোন সাংবাদিককে দেখিয়ে নেওয়ার কোন হুমকি দিইনি। কারো কাছে যদি সেই বক্তব্যের রেকর্ড থাকে তাও আমার কাছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
এক্ষেত্রে সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে, অযথা মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কারো ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার আগে তথ্য যাচাই করে নেওয়ার। পাশাপাশি সাংবাদিক বন্ধুসহ সবার আন্তরিক সহায়তা কামনা করছি।

আলহাজ জাফর আলম ,এমএ
সংসদ সদস্য, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া)
ও সভাপতি- চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।