অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে শীর্ষ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এছাড়া সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন দুই দেশের সরকার প্রধান।

মোদির সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ–ভারত শীর্ষ বৈঠক হয়। এরপর সমঝোতা স্মারকগুলো সই এবং প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করা হয়।

দুর্যোগ দমনে সহযোগিতা, ব্যবসা-বাণিজ্য বিকাশে অশুল্ক বাধা দূরের পদক্ষেপ, দুই দেশের জাতীয় ক্যাডেট কোরের মধ্যে সহযোগিতা বিনিময়, তথ্য যোগাযোগ ও রাজশাহীতে খেলার মাঠ বিষয়ে দুই প্রকল্প বাস্তবায়নে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়।

এছাড়া শিলাইদহের সংস্কারকৃত কুঠিবাড়ি, মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া হয়ে কলকাতা পর্যন্ত স্বাধীনতা সড়ক, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় শহিদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসমাধি, ভারতের উপহার ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স, চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল, দুটি সীমান্ত হাট উদ্বোধন এবং স্মারক ডাকটিকিটের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতে ফেরার সময় পরিবর্তন হয়েছে। মোদির বাংলাদেশ সফর সূচি অনুযায়ী শনিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত সন্ধ্যা ৭টার পরিবর্তে রাত ৯টায় দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি।

এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আয়োজনে অংশ নিতে দুদিনের সফরে ঢাকায় আসেন নরেন্দ্র মোদি। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর তিনি শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

শনিবার সকালে সাতক্ষীরা এবং গোপালগঞ্জে মন্দির পরিদর্শন এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে ঢাকায় ফেরেন মোদি। বিকেলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত পাঁচ দশকে দুই দেশের সম্পর্কের মূল্যায়ন করে ভবিষ্যতের পথনকশা কেমন হবে- সেটিই ঠিক করতে শীর্ষ বৈঠকে বসেন দুই সরকার প্রধান।
– সারাবাংলা