জালাল আহমদ, ঢাকা :

পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীরা নিজ দেশেই উপজাতি সন্ত্রাসীদের বর্বর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে নিজ দেশে পরাধীন জীবন পার করছে ৷ জাতি আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।অথচ পাহাড়ের বাঙালিরা অসহায় জীবনযাপন করছে। শিক্ষা, ব্যবসা- বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাঙালিরা ব্যাপক পিছিয়ে রয়েছে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত এবং বঞ্চিত সকল মানুষের অধিকার সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৩টি সম্প্রদায়ের ১৫ লক্ষ মানুষ নিরাপত্তাহীন এবং আতংকগ্রস্ত।পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের নিরাপত্তার জন্য আরও বেশি সেনা ক্যাম্প স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।অবিলম্বে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের উত্থান রোধে অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি কমিশন গঠন করে নিজ নিজ দখলীয় জায়গার দখল বুঝিয়ে দিতে হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে উপজাতি কোটার বদলে পার্বত্য চট্টগ্রাম কোটা চালু করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন এলাকাগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে সেনাবাহিনীর অধীনে নিয়ে যেতে হবে। শিক্ষা খাতে উন্নয়নের জন্য ৩টি পার্বত্য জেলায় ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের কাজ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত করতে হবে।
আজ সকাল ১১টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ শিশু কল্যাণ ভবনে আয়োজিত “বাংলাদেশের ৫০ম স্বাধীনতা দিবস এবং বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, সরকার যুদ্ধ অপরাধী এবং রাজাকারদের বিচার করলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজাকারদের বিচার করে নি।সংগঠনের সিনিয়র – সহ সভাপতি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি শেখ আহম্মেদ রাজু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট আলমখান প্রমুখ।পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী সাহাদাত ফরাজী সাকিবের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট সারোয়ার হোসেন, মোস্তফা কামাল, ইব্রাহিম চৌধুরী অপি,নাজমুল হোসেন প্রমুখ।