প্রেসবিজ্ঞপ্তি
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কাল বুধবার (২৪ মার্চ) ১০০ কিলোমিটার মাদকবিরোধী রোড মার্চ করবে প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সকাল ৯টায় শুরু হবে বর্ণাঢ্য এই রোড মার্চ। দুপুরে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের সর্বশেষ প্রান্ত সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক এলাকায় গিয়ে শেষ হবে এই রোড মার্চ। রোড মার্চ চলাকালে করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে স্থানীয় জনগোষ্টীকে সচেতন করার পাশাপাশি বিতরণ করা হবে মাক্স ।

বুধবার সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে রোডমার্চের উদ্বোধনী অনুষ্টানে প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সাংসদ, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, পৌরসভার মেয়রসহ বিভিন্ন নাগরিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।

রোড মার্চের উদ্বোধনী শেষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত প্রথম আলো বন্ধুসভার মুখপত্র ‘ সমুদ্রপত্র’ বিশেষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হবে।

এপ্রসঙ্গে প্রথম আলো বন্ধুসভার প্রধান উপদেষ্টা ও প্রথম আলো কক্সবাজার আঞ্চলিক অফিস প্রধান আব্দুল কুদ্দুস রানা বলেন, প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যদের মাধ্যমে সমাজে যাকিছু ভালো, তার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। শিক্ষার্থীদের জন্য গণিত উৎসব, ভাষা প্রতিযোগ, বিতর্ক প্রতিযোগীতা, বিজ্ঞান মেলা, ফিজিক্স অলিম্পিয়াডসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে। এবার ‘মাদকের বিরুদ্ধে লড়বো একসাথে’- এই শ্লোগানে আমরা লোকজনকে সচেতন করতে মাদকবিরোধী ১০০ কিলোমিটারের ব্যতিক্রমধর্মী এই রোড মার্চের আয়োজন করেছি । স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই এই রোডমার্চ পরিচালনা করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন। এরপর ২০১৮ সালের ৪ মে সারা দেশে মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনী। অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে গত ৯ মার্চ পর্যন্ত শুধুমাত্র কক্সবাজার জেলাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ৪ জন নারীসহ ২৭৯ জন মাদককারবারি। এরমধ্যে ১৬৭ জন মারা গেছেন ইয়াবা পাচারের অন্যতম এলাকা টেকনাফে। ইয়াবা পাচারে জড়িয়ে পড়েছে মানবিক আশ্রয়ে থাকা মিয়ানমারের রোহিঙ্গারাও। বন্দুকযুদ্ধে এ পযর্ন্ত মারা গেছেন ২ নারীসহ ১০৬জন রোহিঙ্গা। টেকনাফসহ কক্সবাজারকে মাদকমুক্ত করতে একসাথে জনসচেতনমূলক লড়াইয়ে নামার বিকল্প নেই।