বাংলাট্রিবিউন:
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে গেছে ৯ হাজারের বেশি ঘর।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা নয়ন এবং উখিয়া থানার ওসি তদন্ত সালাউদ্দিন গাজী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা নয়ন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সোমবার বিকাল ৩টার পর উখিয়া বালুখালী ৮ নম্বর শরণার্থী শিবিরের আগুন রাত ১১ টা ১৫ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে জেনেছি ৯ হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে। তবে নিশ্চত করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে আরও সময় লাগবে বরে জানান তিনি।
এদিকে উখিয়া থানার ওসি তদন্ত সালাউদ্দিন গাজী বলেন, এখন পর্যন্ত পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। তবে আগুনে পুড়ে যাওয়ায় তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে আগুনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও অফিস ও পুলিশ ব্যারাকও পুড়ে গেছে। উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর এপিবিএনের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. শিহাব কায়ছার জানান, আগুনে বালুখালীতে অবস্থানরত ৪ নম্বর এপিবিএনের ব্যারাক আংশিক পুড়ে গেছে। তবে অস্ত্র ও মূল্যবান আসবাবপত্র নিরাপদে সরিয়ে ফেলা হয়। আগুনে রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি ঘর ছাড়াও বেশকিছু এনজিও অফিস, স্কুল-মাদ্রাসা পুড়ে গেছে।
উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি আব্দুল হামিদ জানান, আগুনে পুড়ে গেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সবচেয়ে বড় মার্কেট বালুখালী বলিবাজার। এতে ৫০ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
মিনারা বেগম নামের এক রোহিঙ্গা নারী জানান, ক্যাম্পটির ৮ নম্বর ব্লক থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। একটি ছনের ছাউনির ঘর থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।