মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার পৌরসভা সহ সদর উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সোমবার ২২ মার্চ পর্যন্ত কক্সবাজার সদর উপজেলায় করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা মোট ৩ হাজার ১১ জন। অথচ পুরো কক্সবাজার জেলায় রোহিঙ্গা শরনার্থী সহ মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ২ শত ১৭ জন। যা পুরো কক্সবাজার জেলায় আক্রান্তের তুলনায় কক্সবাজার সদর উপজেলায় আক্রান্তের হার প্রায় ৪৯%। যা মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার প্রায় অর্ধেক।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহজাহান নাজির জানিয়েছেন,
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে সোমবার ২২ মার্চ ২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তারমধ্যে, শুধুমাত্র কক্সবাজার পৌরসভা ও কক্সবাজার সদর উপজেলার রোগী শনাক্ত করা হয় ১৪ জন। তিনি আরো জানান, গত ১৩ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত মোট ১০ দিনে কক্সবাজার জেলায় ১৫১ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তারমধ্যে, শুধুমাত্র কক্সবাজার পৌরসভা ও কক্সবাজার সদর উপজেলার করোনা রোগী শনাক্ত করা হয় ৯৫ জনের। এভাবে কক্সবজার সদর উপজেলায় করোনা বাড়ছে ভয়াবহ আকারে। যা ক্রমান্বয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

সোমবার ২২ মার্চ পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলা ৩ হাজার ১১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। ৩৪২ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী সহ মোট ৯৪৪ জন করোনা রোগী নিয়ে উখিয়া উপজেলা দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। ৯৯ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী সহ মোট ৫৭৫ জন করোনা রোগী নিয়ে টেকনাফ উপজেলা তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। ৫৩৭ জন করোনা রোগী নিয়ে চকরিয়া উপজেলা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। ৪৪৭ জন করোনা রোগী নিয়ে রামু উপজেলা পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। ৪০৪ জন করোনা রোগী নিয়ে মহেশখালী উপজেলা ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। ২২০ জন করোনা রোগী নিয়ে পেকুয়া উপজেলা সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। ৯৬ জন করোনা রোগী নিয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা অষ্টম অবস্থানে রয়েছে।

সোমবার ২২ মার্চ করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীর মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাড়াও রামু উপজেলায় ২ জন, উখিয়া উপজেলায় ৩ জন ও টেকনাফ উপজেলার ২ জন রোগী রয়েছে। গত ২১ মার্চ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলায় মৃত্যুবরণ করছে ৮৩ জন। তারমধ্যে, ১০ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ১’৩৭%।