রাশেদুল ইসলাম মাহমুদ :
কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে একটি স্টিলের দোকান থেকে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ২ ফ্রেব্রুয়ারী বিকেল ৪টার দিকে পিএমখালীর পরানিয়া পাড়া এলাকাস্থ ফরিত্যার দোকান নামীয় স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

দোকানটির ভাড়াটিয়া খন্দকার শাহিন (২৬), পিতা-খন্দকার আলী আকবর, কক্সবাজার পৌরসভার দক্ষিন রুমালিয়ারছড়া, পিটি আই স্কুল সংলগ্ম এলাকার বাসিন্দা৷

খন্দকার শাহিন অভিযোগ করে বলেন, বিগত ১ আগষ্ট ২০২০ ইং তারিখ সদরের পি.এমখালী ইউনিয়নের পরানিয়া পাড়া এলাকাস্থ ফরিত্যার দোকান নামীয় স্টেশনে দোকানের মালিক ওবাইদুল করিম, পিতা- সিরাজুল হক থেকে একখানা দোকানগৃহ ২,৫০০ (দুই হাজার পাঁচশত) টাকার বিনিময়ে ভাড়া নির্ধারণপূর্বক আমি ভাড়া নিয়া সিদরাতুল মুনতাহা স্টীল হাউস নামে ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসছি৷  আমার ব্যক্তিগত কিছু অসুবিধা জনিত কারনে ২  মাস সাময়িক  দোকানগৃহ বন্ধ রাখি।

দোকানের ভাড়াটিয়া খন্দকার শাহিন আরো বলেন, আমার অনুপস্থিতির সুযোগ বুঝে  ২ ফ্রেব্রুয়ারী বিকেল ৪টার দিকে দোকানের মালিক ওবাইদুল করিম তাহার ভগ্নিপতি নুরুল হাকিমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জন পরস্পর যোগসাজসে দূর্লোভের বশবর্তী হইয়া আমার উক্ত দোকানের তালা ভাংগিয়া দোকানে অনাধিকার প্রবেশ করে দোকানে রক্ষিত আমার অনেক মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়৷যে মালামালের মূল্য আনুমানিক ৪,৫০,০০০ (চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা৷

চুরি হওয়া মালামাল, আলমিরা তৈরির একটি বাজ মেশিন, ১টি গ্র্যান্ডিং মেশিন, ১টি ড্রিল মেশিন, ১টি ওয়ার্লিং মেশিন, ৪টি বড় কেছি, ৩টি লোহার পাট্টা, ৪টি হাতুড়ি, একটি রং লাগানোর মেশিন, একটি মাপার স্কেল৷

তন্মধ্যে কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিস কর্তৃক রিপারিং এর জন্য প্রদত্ত ২ টি আলমিরা, ২২গজা স্টীল সিট-৩৫০ কেজি, ৩০ গজা স্টীল সিট-৩০ কেজি, ৩টি সিলিং ফ্যান, ১৪ টি এনার্জি বড় লাইট, ক্যাশ টেবিল – ১টি, স্টিলের রেক-১টি, শেলফ-১টি, আলমিরা তেরির আনুষাঙ্গিক সরঞ্জামাদি ও খুচরা যন্ত্রাংশ, আমার ও আমার পিতার নামীয় দুটি চেক বই ও দোকানের বিভিন্ন মূল্যবান কাগজপত্রাদি চুরি করিয়া অন্যত্রে বিক্রি করত আত্মসাৎ করিয়া ফেলে৷

দোকানের ভাড়াটিয়া খন্দকার শাহিন আরো বলেন, আমার দোকান থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া মালামালের বিষয়ে দোকানের মালিক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ, মারধর করাসহ হুমকি ভীতি প্রদান করেন।

ভাড়াটিয়া শাহিন আরো বলেন, এবিষয়ে গত ৭ ফ্রেব্রুয়ারী আমি সদর মডেল থানায় একখানা অভিযোগ দায়ের করি৷

উক্ত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে দোকানের মালিক হাজির হয়ে আমার কাছ হইতে দোকানের বকেয়া ভাড়া,ইলেকট্রিক বিল বাবদ ২৭,০০০ টাকা দাবী করে৷ উক্ত দাবীকৃত টাকা আদায় করলে আমার চুরি হওয়া মালামাল গুলি ফেরত দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়৷

আমি বিচারকের কাছে উক্ত টাকা প্রদানে কিছুদিন সময় নিলে, বিচারক সময় দেয়ার পরেও দোকানের মালিক উক্ত মালামাল গুলি বাংলাবাজার কাজী অফিস সংলগ্ম এস.এম এন্টার প্রাইজ নামে দোকানে বিক্রি করে দেয় ।

এ বিষয়ে দোকানের মালিক ওবাইদুল করিম এ প্রতিবেদক কে জানান, ভাড়াটিয়া খন্দকার শাহিন তার মালামাল গুলি ভাড়া হিসেবে বাংলাবাজার একটি দোকান কে দিয়েছে৷ আমার ভাড়াটিয়া খন্দকার শাহিন এর সাথে শুরু থেকে এ পর্যন্ত বসে সমাধান করার জন্য চাচ্ছি, কিন্তু যথাসময়ে খন্দকার শাহিনকে আসতে বললে পাওয়া যায়না।

মালামাল ক্রয়কারী এস.এম এন্টার প্রাইজের সত্ত্বাধিকারী বলেন, আমি দোকানের মালিক ওবাইদুল করিমের ভগ্নিপতি নুরুল হকের কাছ থেকে মাসিক ভাড়া হিসেবে মালামাল গুলি নিয়েছি৷ যার মাসিক ভাড়ার মূল্য ১৭০০ টাকা৷

মামালার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমজাদ বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষকে আমি থানায় ডেকে সমাধান করে দিয়েছি, নতুন করে কোন বিষয় আমি জানিনা৷

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান, যদি আমার কাছে নতুন করে ভুক্তভোগী খন্দকার শাহিন অভিযোগ নিয়ে আসে বিষয়টি আমলে নিয়ে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷