মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু:
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে স্মার্ট কার্ড বিতরণে চরম কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালি লক্ষ করা গেছে। সঠিক নিয়মনীতি না থাকায় গাদাগাদি করে কার্ড সংগ্রহ করতে গিয়ে নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটছে। পুরুষদেরও চরমভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্মার্ট কার্ড বিতরণকালে এমন চিত্র ধরা পড়ে।
যদিওবা প্রথম দিন উত্তপ্ত পরিস্থিতি কাটিয়ে অনেক বাকবিতণ্ডার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত স্মার্ট কার্ড বিতরণ করে নির্বাচন অফিস।
দ্বিতীয় দিন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রামু নির্বাচন অফিস কর্তৃপক্ষের অযোগ্যতা ও খামখেয়ালির কারণে কার্ড বিতরণে হযবরল সৃষ্টি হয়। কোন রকম শৃঙ্খলা ছিলনা লাইনে মিশে গিয়েছিল নারী পুরুষ।
এরই মাঝে অনেকের সাথে হয়েছে বাকবিতণ্ডা, কেউ টোকেন নিয়েছে, কার্ড নিতে পারে নি। আবার কেউ কার্ড নিয়েছে ফিঙ্গার দিতে পারে নি। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে কার্ড না নিয়ে ফিরে গেছে।
ভোগান্তির শিকার মোস্তাক আহাম্মদ ফরিদ, মোঃ ইউনুসসহ অনেকে জানান, আমাদের মা-বোনদের ইজ্জতহানি ও গাদাগাদিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, এবং অনেক পুরুষও একই ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। যদিও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সকাল থেকে কঠোর পরিশ্রম করেও রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের।
শনিবার সকাল ১১ টায় গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ ফরহাদ আলী পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি নির্বাচন অফিসারকে বলেছিলেন- এভাবে এলোমেলো হলে আপনারা কার্ড বিতরণ বন্ধ রাখেন। নিরীহ মানুষের উপর পুলিশ লাঠি চার্জ করতে পারবে না।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মাহফুজুর রহমান এসব পরিস্থিতি ও হযবরল সৃষ্টির জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দুষলেন। খবর শোনে কচ্ছপিয়া ইউপির চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাঈল নোমান ছুটে যান।
তিনি রাতে মাইকিং করান- রবিবার স্মার্ট কার্ড শুধু মহিলাদের দেওয়া হবে। যদিওবা রবিবার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের জন্য নির্ধারিত তিন দিন শেষ হবে। আবার পরর্বতী দিন ধার্য্য করে পুরুষদের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে।