সংবাদদাতা:
কক্সবাজারের রামুতে ব্যাটারি চালিত টমটম গ্যারেজে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত দল বিভিন্ন টমটম গাড়ী অর্ধশতাধিক ব্যাটারি ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

শনিবার (২০মার্চ) রাত সাড়ে ৩টার দিকে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাদের পাড়া স্টেশন সংলগ্ন মাহমুদুল হকের মায়ের দোয়া নামক টমটম গ্যারেজে দুর্ধর্ষ ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে।

গ্যারেজ মালিক মাহমুদুল হক জানান, আমার গ্যারেজে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি টমটম গাড়ী বৈদ্যুতিক চার্জ করার জন্য রেখে যায় মালিকগণ। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাইক্রোবাস যোগে ১০/১২ জনেন এক দল ডাকাত আমার গ্যারেজে চার্জে রাখা এক টমটমের মালিক স্থানীয় মোহাম্মদ ইউসুফের পুত্র জাকির সেজে গ্যারেজ রাখা গাড়ী বাহির করার জন্য ডাকাডাকি করেন। এসময় তাদের গলার আওয়াজ অপরিচিত মনে হওয়ায় গেইট না খুলে পুণরায় ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করি। পরক্ষণে টমটম মালিক জাকির গেইট খোলার জন্য ডাক দেয়। এসময় গেইট খোলে দেয়ার সাথে সাথে মুখোশ পরিহিত অস্ত্রধারি ডাকাত বুকে অস্ত্র ধরে লাটি দিয়ে আঘাত করে হাত, পা, চোখ, মুখ ও গলায় ফাঁস দিয়ে বেঁধে রাখেন। এসময় ধস্তাধস্তির আওয়াজ পেয়ে গ্যারেজের কর্মচারী আজিম উল্লাহ অন্য রুম থেকে দৌড়ে আসলে তাকেও বেঁধে রেখে ১১টি টমটম গাড়ীর প্রায় প্রায় ৫লাখ টাকা মূল্যমানের ৪৪টি ব্যাটারি ও নগদ ৪০হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, গ্যারেজে ডাকাতি করার আগে স্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নৈশ প্রহরী আনু মিয়া অস্ত্র হাতে ডাকাত দলকে দেখার পর আইনশৃংখলা বাহিনী বা স্থানীয় লোকজনকে খবর না দিয়ার কারণে তার এত বড় ক্ষতি হওয়ার অভিযোগ করেন মাহমুদুল হক।

অভিযুক্ত টমটম মালিক জাকির বলেন, ভোর চারটার দিকে কক্সবাজার শহরের ফিশারী ঘাটে রিজার্ভ যাত্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য গ্যারেজ থেকে গাড়ী বাহির করতে যায়। এসময় গ্যারেজের পার্শ্বে একটি মাইক্রো বাস দেখতে পেয়ে মাইক্রো বাসটি সরিয়ে রাখতে বলে গ্যারেজের ভিতরে প্রবেশ করামাত্র ডাকাত দল মুখ ও হাত বেঁধে বসিয়ে রাখেন। পরে তাদের অগোচরে বাঁধ খুলে পালিয়ে যায়। তবে তার ডাকে গেইট খোলে দিয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি।

এবিষয়ে নৈশ প্রহরী আনু মিয়া জানান, রাত তিনটার দিকে অস্ত্র হাতে মুখোশ পরিহিত যুবক ডাক দিলে মুখোশধারীর হাতে অস্ত্র থাকায় ভয়ে আড়ালে চলে যায়। এসময় পকেট থেকে মোবাইল ফোনটি পড়ে যাওয়ায় কাউকে খবর দেয়া সম্ভব হয়নি।

রামু থানার ওসি একেএম আজমিরুজ্জান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে সাব ইন্সপেকটর (এসআই) মঞ্জু নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।