ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
একতো স্বর্ণের বাজার অস্থির। দামের কোন স্থায়িত্ব নেই। যথেচ্ছা বাড়ছে আর কমছে। তার মাঝে যদি ক্যারেট (মান) নিয়ে যদি জালিয়াতি করা হয়, তখন গ্রাহকরা যাবে কোথায়?
এম বাবলু হাসান চৌধুরী। বাড়ি চকরিয়ার উত্তর লক্ষ্যারচর। ভালো মানের স্বর্ণ কিনতে
গত বছরের ২০ জুলাই কক্সবাজার আসেন। অনেক দোকান ঘুরেন। দাম দর করেন। মানের সাথে দাম মেলে না। ঘুরতে ঘুরতে চোখে পড়ে ফায়ার সার্ভিস মসজিদ সড়কের শাহ আমানত জুয়েলার্সে। সাইনবোর্ড দেখেই আস্থা আসে। বিশ্বাস নিয়ে ঢুকেন দোকানে। ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণ দেখেন। মালিক শিবু ধরের সঙ্গে দাম ঠিক করেন।
৬০ হাজার টাকা দরে ১২ ভরি স্বর্ণ কিনেন।
মজুরিসহ দরদাম মতে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা আসে। সাড়ে ৪ লাখ টাকা নগদ পরিশোধ করেন। বকেয়া থাকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
গত ২৩ জানুয়ারির ঘটনাঃ
শাহ আমানত জুয়েলার্সের ২২ ক্যারট সীলমোহরকৃত স্বর্ণগুলো নিয়ে ঢাকার ‘বাংলা গোল্ড প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক স্বর্ণের মান যাচাইকারক প্রতিষ্ঠানে গেলেন এম বাবলু হাসান চৌধুরী। মান যাচাইয়ের পর ‘থ’ হয়ে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২২ ক্যারেট স্বর্ণ হয়ে গেল ১৬ ক্যারট! আজব ব্যাপার তো! মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা।
বাজারদর অনুযায়ী, ১৬ ক্যারেট মানের স্বর্ণ ভরি প্রতি সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা।
সে হিসেবে প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত হাতিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, জুয়েলারির মালিকের নাম শিবু ধর। কিন্তু নাম দিয়েছে শাহ আমানত জুয়েলার্স। এটাও একটা ব্যবসার কৌশল ও প্রতারণা।
বিষয়টি জেলা প্রশাসন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভুক্তভোগিরা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিবু ধর বলেন, ক্রেতা কোন প্রতিষ্ঠানে মান যাচাই করেছেন তা আমরা নিশ্চিত নই। তবু অভিযোগ শোনার পর ক্রেতার বাড়িতে যাচ্ছি। কি করা যায় দেখি।