মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কক্সবাজারের সন্তান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী (৭৯) আর নেই। শনিবার ২০ মার্চ বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্নালিল্লাহি–রাজেউন)। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।

মরহুমের ভ্রাতুষ্পুত্র ও এসএসসি ব্যাচ ৮৪ সদস্য সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের দক্ষিণ মগনামা গ্রামের জমিদার বাড়ির মরহুম ছিদ্দিক আহমদ চৌধুরী ও আসমা খাতুন সন্তান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।

মৃত্যুকালে মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী স্ত্রী, ১ পুত্র, ১ কন্যা সন্তানসহ অনেক অনুসারী, গুণগ্রাহী রেখে যান। তাঁর স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।

শনিবার ২০ মার্চ আসরর নামাজের পর ঢাকায় নামাজে জানাজা শেষে বনানী সেনা কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে বলে সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী জানিিয়েছেন।

তিনি ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সামরিক একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে আর্মাড কোরে যোগদান করেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মাড কোরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও এ কারের প্রথম পরিচালক। এছাড়া তিনি কর্মরত থাকা অবস্থায় মাস্টার জেনারেল অব দ্য অর্ডন্যান্স ছিলেন। এরপূর্বে তিনি বিভিন্ন সময় ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স), প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর, বিডিআর, মায়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামরিক উপদেষ্টা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান এবং কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে ১১ জানুয়ারি ২০০৭ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি দলের ভাইস-চেয়ারম্যান হন।