সিবিএন ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে প্রয়োজনে আবারও লকডাউনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে লকডাউনের কোনও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক। বুধবার (১৭ মার্চ) বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস)-এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, লকডাউনের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে নেওয়া হয়ে থাকে। এ বিষয়ে এখনও কোনও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে না। আমরা জানি সংক্রমণ কেন বাড়ছে। সংক্রমণ বাড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানছি না। মাস্ক পরছি না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছি না। গত এক মাসে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটিতে ২০ লাখ লোক গিয়েছে। কক্সবাজারের সৈকতে কিভাবে লোক গিয়েছে সেটা সবাই দেখেছে। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার হাসপাতালে যত রোগী এসেছে তার বেশিরভাগ চট্টগ্রামের।

জাহিদ মালেক বলেন, অনিয়ন্ত্রতভাবে দেশে বিয়ে, ওয়াজ-মাহফিল ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে। এসব অনুষ্ঠানে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। শতকরা ৯৫ শতাংশ মানুষই মাস্ক ছাড়া। ওয়াজ-মাহফিলেও একই অবস্থা। একইসঙ্গে টিকা নিয়ে মনে করছি, আমরা করোনা প্রতিরোধ করে ফেলছি। বেপরোয়া হয়ে গেছি। যার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছি। এসব কারণে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

যুক্তরাজ্যে ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি করছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে গবেষণা করছেন। এ পর্যন্ত তারা এই ভ্যারিয়েন্টের ১০ জন রোগী পেয়েছেন। যারা ইউরোপ থেকে এসেছেন। সেসব ভ্যারিয়েন্ট ছড়ায়নি, নিয়ন্ত্রণে আছে। তাদের কন্টাক্ট ট্রেসিং করা হয়েছে। তাতে পাওয়া গেছে এটা কোথায় ছড়ায়নি। কিন্তু আমরা তারপরও চাgd এয়ারপোর্টে স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম জোরদার করা হোক। সেটা বলাও হয়েছে। কোয়ারেন্টিন জোরদার করার জন্য বলা হয়েছে। যেসব হোটেলে কোয়ারেন্টিন হচ্ছে সেখান থেকে আমরা খবর পেয়েছি কোয়োরেন্টিনের নিয়ম-নীতি মানা হচ্ছে না। তারা নিজেরা বাইরে যাচ্ছে। আত্মীয়-স্বজন এসে দেখা করছে। সিভিল সার্জন পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এসব হোটেল তদারিক করার জন্য।

সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য কঠোর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। জেলা পর্যায়ে কমিটিগুলোকে বলা হয়েছে তারা যেন বিয়ের অনুষ্ঠান সীমিত করে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে । যারা তা মানবে না, তাদের জরিমানা করতে বলা হয়েছে।

গণপরিবহন, রেস্তোরাঁ ও পর্যটন কেন্দ্র কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন. এ বিষয়ে যথাযথ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। তাদের অনুরোধ করেছি তারা যেন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এ বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদকে জানানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সব মন্ত্রণালয়ে যার যে দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছে।