শেফাইল উদ্দিনঃ
কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদে ব্রীজ না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাকু দিয়ে পারাপার করছে ১০ গ্রামের মানুষ। এ সাকু দিয়ে পারাপার করতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। অন্যদিকে এ সাকু দিয়ে পারাপার করতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে পথচারীরা ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইসলামাবাদ হিন্দু পাড়া হয়ে বাজার এলাকার সওদাগর পাড়া সংযোগ সাকুটি ঝুঁকিপূর্ণ একটি কাঠের সাকু। এ সাকু দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছে ইসলামাবাদ হিন্দু পাড়া, চরপাড়া, রাবার ড্যাম জালালাবাদ,লরাবাক, খামার পাড়া, মিয়াজী পাড়াসহ পোকখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার লোকজন । অন্যদিকে এ সব এলাকার লোকজন প্রতিদিন ঈদগাঁও বাজারে কেনাকাটা,ব্যবসা বাণিজ্য,ব্যাংক, হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে আসতে হচ্ছে এ সাকু দিয়ে । অন্যথায় বিকল্প সডক হয়ে ইসলামাবাদ বাশঘাটা ও জালালাবাদ সড়ক দিয়ে অনেক দুরে পায়ে হেঁটে ও গাড়িতে করেই ঈদগাঁও বাজারে পৌঁছতে হয়। এতে আরোও বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের ।
এ দিকে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সমস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ ঈদগাও বাজার সংলগ্ন হওয়ায় এ সব এলাকার শিক্ষার্থীদের এ ঝুঁকিপূর্ণ সাকু দিয়ে
প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। সচেতন মহলের অভিমত এই হিন্দু পাড়া -সওদাগরপাড়ার সংযোগ ব্রীজটি নির্মান হলে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থ ও ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটবে।
অন্যদিকে এ সব এলাকার লোকজনের ভোগান্তি কমবে এবং এ ক্রাইমজোনে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন হবে।
এ ব্যপারে ইসলামাবাদ রাবার ড্যাম এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মহিম, মাসুদ রানা, জাহাঙ্গীরের সাথে কথা হলে জানান, বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম চললেও আমরা সঠিক নেতৃত্বের অভাবে আমাদের সপ্নের ব্রীজটি হচ্ছে না। এ ঝুঁকিপূর্ণ সাকূ নিয়ে আমরা খুবই সমস্যায় রয়েছি। এ ব্যাপারে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ইসলামাবাদ আওয়ালীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মেম্বারের সাথে কথা হলে জানান ,এ ব্রীজের ডিজাইন এবং ম্যাপ হয়েছে খুব তাড়াতাড়ি কাজ হওয়ার জন্য চেষ্টা করতেছি। আগামী মাসে হয়ে যাবে এ আশা করতেছি।