কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স-আই.এল.ও প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় জেলা প্রশাসক

নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে কক্সবাজারকে প্রমোট করতে হবে

প্রকাশ: ১৬ মার্চ, ২০২১ ০৮:০৯ , আপডেট: ১৬ মার্চ, ২০২১ ০৮:২১

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেছেন, পর্যটন নগরী হিসেবে কক্সবাজারকে দেশে বিদেশে প্রমোট করতে হলে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজন দৃষ্টিনন্দন সুবিনিয়র।

তিনি বলেন, নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিক দিকে এগিয়ে নেয়া আমাদের জাতীয় পরিকল্পনার অংশ।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসনের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে পর্যটন শিল্প, মৎস্য শিল্প এবং নির্মাণ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বাজার চাহিদা নির্ভর দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাজার সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে “প্রমোটিং এন্ট্রিপ্রিনিয়ারশিপ এন্ড মার্কেট-ড্রিভেন স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ফর হোস্ট কমিউনিটিস অফ কক্সবাজার” প্রকল্প পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজারকে বিশ^ দরবারে ব্রান্ডিং করার মতো অনেক কিছু আছে। সে জন্য স্থানীয়দের ভাবতে হবে। বিশেষ করে জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে তা সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ভ্যালু চেইন উন্নয়নে সহায়তা করবে।

প্রকল্প মালিক, শ্রমিক, তরুণ উদ্যোক্তা, নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকার পাশাপাশি করোনাকালে ব্যবসার উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে মনে করেন ডিসি মোঃ মামুনুর রশীদ।

চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইকবাল জাহিদ, কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুরাইয়া আকতার সুইটি, জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল এবং আইএলও- এর প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

চেম্বার সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, কক্সবাজারের ৮ উপজেলার স্থানীয় উদ্যোক্তাগণ বৈষয়িক বিবেচনায় নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় সম্পদকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন।

তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় তিন ধরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের সহায়তা, দক্ষতা উন্নয়ন ও করোনাকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের পেশাগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে সহায়তা প্রদান। কক্সবাজারে প্রচুর উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। সেই জন্য দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। তৃণমূল পর্যায়ে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য আমরা কাজ করছি।

আইএলও- এর প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন- সরকার, শ্রমিক এবং মালিকদের সাথে একযোগে কাজ করছে জাতিসংঘের একমাত্র সংস্থা আইএলও। শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের ট্যুরিজম, ফিশারীজ ও নির্মাণ শিল্পখাতকে কিভাবে আরো বেশি উন্নত করা যায়, তার জন্য কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ২০০ জনকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। তাতে গুরুত্ব পাবে তরুণ উদ্যোক্তারা।

চেম্বার পরিচালক আবিদ আহসান সাগরের সঞ্চালনায় সভার মূল বিষয় এবং কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন চেম্বার এর প্রকল্প সমন্বয়কারী এন.এম.কে.জাফরী।

প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত সি.এস.এম.ই প্রনোদনা প্যাকেজ নিয়ে মল বক্তব্য রাখেন সোনালী ব্যাংকের কক্সবাজার শাখা ব্যবস্থাপক তারেক আজম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আরও মূল্যবান বক্তব্য রাখেন- জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার, ওমেন চেম্বার এর সভাপতি জাহানারা ইসলাম, শুঁটকি ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আতিক উল্লাহ, চেম্বারের পরিচালক মো: নুরুজ্জমান, শিবলুল করিম, আজমল হুদা, এ.আর.এম শহিদুল ইসলাম রাসেল, এম রেজাউল করিম রেজা, ই-কমার্স এবং জেলা অনলাইন ব্যবসায়ির পক্ষে লিটন সৈকত দেবনাথ। এ সময় বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী এবং প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা কক্সবাজারের শুটকী মহাল, ইটভাটা, গণপরিবহন থেকে শিশু শ্রম বন্ধে পয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি তুলেন। সেজন্য আইএলও, জেলা প্রশাসন ও চেম্বারসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।