এম.জুবাইদ , পেকুয়া :
কক্সবাজারের পেকুয়ার বারবাকিয়া ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র কাউন্সিল চলাকালীন গুলি বর্ষণ করে সভা পন্ড করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় মুখোশ পরিহিত ১০/১২জনের দুর্বৃত্ত স্কুলছাত্রীসহ ৭জন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধারালো কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে মারাত্বক জখম করে। সোমবার (১৫মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বুধামাঝিরঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন বুধামাঝিরঘোনা গ্রামের বাহদুরের মেয়ে ও পেকুয়া সরকারী মডেল জিএমসি স্কুলের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী শাহনাজ আক্তার মুন্নি (১৩),জামাল উদ্দিনের ছেলে বিএনপি সমর্থিত কর্মী আব্দুল কাদের (২৯), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারন সম্পাদক দিদারুল ইসলাম,জামাল হোসেনের ছেলে যুবদল নেতা নুরুল কাদের, জালিয়াকাটা গ্রামের মৃত.নুরুল আলমের ছেলে ছাত্রদল নেতা শওকত হোসেন (২৫) তার ভাই যুবদল নেতা বেলাল উদ্দিন (৪৩) ও উজানটিয়া সুতাচুরা গ্রামের মৃত.কালা মিয়ার ছেলে বিএনপি নেতা বদিউল আলম (৫০)। এদের মধ্যে শওকত হোসেন ও নুরুল কাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) প্রেরণ করা হয়েছে।

তবে হামলার বিষয়টি নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। পেকুয়া সদর পশ্চিম জোন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল মোনাফ বলেন, বুধামাঝিরঘোনা বিএনপি নেতা ছরওয়ার কামাল মেম্বারের বাড়ির পাশে একটি মাঠে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন চলছিল। নেতাকর্মী নিয়ে ভরপুর সুন্দর ও শান্তিশৃঙ্খলভাবে সম্মেলন চলছে। হঠাৎ ৫/৬রাউন্ড গুলির আওয়াজ শুনি। ১০/১২ জনের মুখোশপরা দুর্বৃত্ত মিটিংয়ে আক্রমন চালায়। কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে আমাদের নেতাকর্মীদের জখম করে। তারা ক্ষমতসসীন দলের লোকজন। উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা শান্তিপুর্নভাবে মিটিং করছি। সম্মেলন হচ্ছে ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির। কোন কিছু বুঝে উঠার আগে আওয়ামীলীগের উশৃঙ্খল কিছু লোকজন মিটিংয়ে আক্রমন চালায়। স্কুলছাত্রীসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বিকট আওয়াজ শুনেছি। নেতাকর্মী দিকবিদিক ছুটাছুটি করছে। গুলি নাকি বাজির আওয়াজ ঠিক বলতে পারবনা। হামলাকারীরা মুখোশ পরা ছিল। তবে নবীর হোসেন নামের একজনের মুখোশ টানাটানিতে খুলে যায়। তার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে।

৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো.বাহাদুর বলেন, বিএনপির সম্মেলন চলছে। বেড়িবাঁধের পাশে আমি আমার দোকানে ছিলাম। গন্ডগোল শুরু হলে লোকজন ছুটাছুটি করে। আমার মেয়ে দোকান থেকে মালামাল নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছে। এ সময় তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। স্থানীয়রা জানায়, আতংক ছড়িয়ে মিটিংয়ে হামলা চালায়। আমরা নারী-পুরুষ বের হয়ে তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করি। এলাকায় এখনো আতংক বিরাজ করছে। বারবাকিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এটি তাদের দলীয় কোন্দল। পদ পদবী বঞ্চিতরা এ ন্যাক্কারজনক হামলা করেছে। এখন দোষটা আওয়ামীলীগের কাঁধে তুলে দিচ্ছে। এটি বিএনপির পুরানো স্বভাব।

পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার জানায়,আমাদের কেউ বলেনি। পুলিশও পাঠাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।