ছোটন কান্তি নাথ:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার’ অধীন চকরিয়া লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভায় সিনিয়র সহকারী জজ জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন- আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারিভাবে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হবে। এজন্য সরকার আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০ প্রণয়ণ করেছে। তাই সমাজের হতদরিদ্র, ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠিসহ পিছিয়ে পড়া মানুষকে একেবারে বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, তবে এক্ষেত্রে আপোষযোগ্য মামলা বা অভিযোগকেই আমলে নেবে লিগ্যাল এইড কমিটি। যদি ফৌজদারি বড় কোন অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে তা আইনানুযায়ী যথানিয়মে চলবে। দেওয়ানী আইনের মামলাতেও একই ধরণের সহায়তা দেওয়া হবে।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চকরিয়া আদালত ভবনে লিগ্যাল এইড কমিটি আয়োজিত মাঠপর্যায়ে আইনগত সহায়তা প্রদান কর্মসূচীর অগ্রগতি বিষয়ক অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ জিয়া উদ্দিন আহমেদ উপরোক্ত ধারণা দেন উপস্থিত চৌকি লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যবৃন্দকে। এ সময় তিনি অনুরোধ করেন কমিটির সকল সদস্য যাতে মাঠপর্যায়ে এই বিষয়টিকে ভালভাবে প্রচার-প্রচারণায় আনা হয়। যাতে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো এবং নারী-শিশুঘটিত বিষয়গুলো বিনাখরচে আইনগত সহায়তা পেতে সহায়ক হন।

চকরিয়া উপজেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মো. মঈন উদ্দিনের সঞ্চালনা ও স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় আরো বক্তব্য দেন লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট এএইচএম শহীদুল্লাহ চৌধুরী, বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট হাবিব উদ্দিন মিন্টু, লিগ্যাল এইড আইনজীবী দিদারুল ইসলাম, পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ছাবের প্রমূখ। সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এজিপি অ্যাডভোকেট শ্রীধর দত্ত
বাদল, চকরিয়া উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফ হোসেন, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা জাহান, চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা গনেশ যাদব পাল, দৈনিক কালের কণ্ঠ ও দৈনিক আজাদীর প্রতিনিধি ছোটন কান্তি নাথ, দৈনিক প্রথমআলো প্রতিনিধি এস এম হানিফ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধিসহ কমিটির
সদস্যবৃন্দ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের অনেকে বলেন, প্রসেস ফির কারণে অনেকসময় মামলা গতি পায়না। তাই গরীব-অসহায় বিচারপ্রার্থীরা যাতে এই আইনের সহায়তা পায় সেদিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ জানতে পারে সরকারীভাবে আইনগত সহায়তা দিতে উপজেলা পর্যায়ে লিগ্যাল এইড কমিটি এবং লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে সরকার।