সিবিএন ডেস্ক:
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, “প্রথম ডোজ নিয়েই আমরা মাস্ক ব্যবহার করছি না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছি না। যার ফলে সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে। মানুষ করোনার ভ্যাকসিন পেয়ে আনন্দিত এবং সবাই ভ্যাকসিন পাচ্ছে। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মানুষের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব দেখা দিয়েছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মানুষের মধ্যে ধারণা জন্মেছে ‘আমি করোনামুক্ত, আমার আর করোনা হবে না’। বিষয়টি আসলে তা নয়। ভ্যাকসিন নেওয়া হলেই সঙ্গে সঙ্গে করোনা মুক্ত হওয়া যায় না। সঙ্গে সঙ্গে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় না। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। প্রথম ডোজ নিলেই করোনামুক্ত হয় না।”

আজ শনিবার (১৩ মার্চ) সকালে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় চান্দইর গ্রামে মন্ত্রীর নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় অনুষ্ঠিত দলীয় নেতাকর্মীদের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুল মজিদ ফটো, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম সুলতানুল আজম খান আপেল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার উদ্দিন সরকারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের দলীয় প্রতিনিধি ও কর্মীরা।

এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের ও দেশবাসীকে অনুরোধ করবো আপনারা মাস্ক ব্যবহার করুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সংক্রমণের হার যদি বেড়ে যায় তাহলে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। যতটা সম্ভব সামাজিক অনুষ্ঠান বাদ দিতে হবে। আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন।’

এসময় মন্ত্রী গত বছরের করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার পেছনে কারণ ছিল, বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা সবাই করোনা মোকাবিলায় কাজ করেছি এবং চেষ্টা করেছি। করোনা মোকাবিলায় প্রথমত আমরা মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে বলেছি। বর্তমানে মানুষ এখন আর মাস্ক ব্যবহার করে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছি না। যার ফলে সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িয়ে দিয়েছি, সামাজিক অনুষ্ঠান। বিয়েসাদি বাড়িয়ে দিয়েছি। মানিকগঞ্জেও কত বিয়ে দেখলাম। অনুষ্ঠানে হাজার হাজার লোকের সমাগম দেখতে পাচ্ছি। এভাবেই সংক্রমণ বাড়তে থাকে।’