শাহীন শাহ, টেকনাফ :

টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় চার নারী আহত , একজন নারী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আহতরা হচ্ছেন কেরুনতলী ঘোনাপাড়া এলাকার আলী ইসলামের কণ্যা ফরিদা ইয়াছমিন (২০), ফাতেমা বেগম (২৮), মোহাম্মদ নূরের স্ত্রী খাইরুন নেছা (২৪), সৈয়দ নূরের গর্ভবতী স্ত্রী পারভীন আক্তার (১৮)। অন্যানরা কিছুটা সুস্থতা হলেও ফরিদা ইয়াছমিন এখনো সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

১১ মার্চ সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে মুঠোফোনে মূমর্ষ কন্ঠে এসব অভিযোগ করেন।

জানা গেছে, গত সোমবার সকালে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কেরুনতলী ঘোনার পাড়া নিজের জমিতে শৌচাগার তৈরী করাকে কেন্দ্র করে একদল চিহ্নত দূর্বৃত্তরা লাঠিসোটা ও দা কিরিচ দিয়ে প্রথমে তৈরীকৃত শৌচাগারটি ভেঙ্গে দেয়। এতে বাধা দিলে ওই চারজন নারীদের ন্যক্কারজনক হামলা চালায় তারা। এদের মধ্যে ফরিদা ইয়াছমিন ও পারভীন আক্তার গুরুতর আহত হন। ফরিদা ইয়াছমিন এখনো কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ফরিদা ইয়াসছমিনের পিতা আলী ইসলাম জানান, ‘জকির হ্যাডম্যান, তার ছেলে শাহ আলম, মো. হানিফ, নুর আলম, ওমর ফারুক মিলে ইতিমধ্যে আমার সাড়ে ৩ কানি জমি জবর দখল করে ফেলেছে। এ ছাড়া নিজের জমিতে শৌচাগার করতে গেলেই তারা হামলা চালিয়ে আমার মেয়ে ও ছেলের বউদের রক্তাক্ত করা হয়।’ বনবিভাগের হ্যাডম্যান পরিচয় দিয়ে এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন জকির। এ ব্যপারে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

প্রতিপক্ষ শাহ আলম মুঠোফোনে শৌচাগার ভেঙ্গে ফেলার কথা স্বীকার করে বলেন, তারা শৌচাগার সহ আরো বেশি জায়গা দখল করলেই সামান্য মারামারি হয়।

এ ব্যাপারে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই নূরে আলম জানান, এইরকম একটি অভিযোগ ফাঁড়িতে রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।