অনলাইন ডেস্ক: মায়ের পিছু নিয়ে মাদরাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়া শিশুকে নির্যাতনকারী সেই শিক্ষককে এবার আটক করেছে পুলিশ। এর আগে উপজেলা প্রশাসন তাকে আটক করলেও শিশুটির মা-বাবা মামলা করতে রাজি না হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির বাবা অথবা চাচাকে বাদী করে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটায় নিজ বাড়ি থেকে হাটহাজারী থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।

আটক হাফেজ মো. ইয়াহিয়া হাটহাজারী পৌরসভার আল মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমিতে শিক্ষকতা করেন। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা এলাকার মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে ইয়াহিয়া।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় আল মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমি মাদরাসায় এক শিশুকে নির্মমভাবে পেটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন অভিযান চালিয়ে মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মো. ইয়াহিয়াকে আটক করেন। কিন্তু শিশুটির মা-বাবা শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে রাজি না হওয়ায় তাকে ছেড়ে দিতে হয়।

ইউএনও রুহুল আমিন জানিয়েছিলেন, আজ (বুধবার) শিশুটির জন্মদিন। আগের দিন (মঙ্গলবার) বিকেলে তার মা মাদরাসায় ছেলেকে দেখতে যান। বিদায় নিয়ে চলে আসার সময় আট বছরের শিশুটি পেছন পেছন মাদরাসার বাইরে চলে যায়। সেটা দেখে শিক্ষক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া তার ঘাড় ধরে মাদরাসার ভেতর নিয়ে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন  বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি রাঙ্গুনিয়ায় গ্রামের বাড়িতে চলে যান। আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছি। শিশুটির পরিবার মামলা করতে রাজি হয়েছে। তার বাবা অথবা চাচাকে বাদী করে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। একটি শিশুকে নির্মমভাবে পেটাল, সারাদেশে তোলপাড় হলো। আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে তো আমরা তাকে ছেড়ে দিতে পারি না।’-সারাবাংলা