সিবিএন ডেস্ক:
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তৎপরতা চালাতে একটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এজন্য গত ৪ মার্চ ইসরায়েলি-কানাডিয়ান লবিস্ট আরি বেন-মেনাশে এবং তার মন্ট্রিলভিত্তিক ফার্ম ডিকেন্স অ্যান্ড ম্যাডসনের সঙ্গে দুই মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে বর্মি কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ৭৬ হাজার ৬০ টাকা।

আরি বেন-মেনাশে নামের এই লবিস্ট মূলত ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার একজন সাবেক কর্মকর্তা। এর আগে তিনি জিম্বাবুয়ের রবার্ট মুগাবে এবং সুদানের সামরিক শাসকদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তার লবিস্ট ফার্মের অফিস কানাডার মন্ট্রিলে।

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলসহ অন্যান্য দেশে বার্মার পক্ষে লবিং করবে ডিকেন্স অ্যান্ড ম্যাডসন। এছাড়া জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়নসহ অনান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাতেও মিয়ানমারের হয়ে প্রচারণা চালাবে তারা।

লবিস্ট ফার্মটি জানিয়েছে, বর্মি কর্মকর্তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদেরও ফেরত নিতে চায়। এজন্য তারা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে যোগাযোগ করছে একটি তহবিল সংগ্রহের জন্য।

এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বেন-মেনাশে জানান, তাকে ও তার প্রতিষ্ঠান ডিকেন্স অ্যান্ড ম্যাডসন কানাডাকে মিয়ানমারের জেনারেলরা নিয়োগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশ তাদের ‘ভুল বুঝছে’ তাদের সঙ্গে যোগাযোগে সহযোগিতা করার জন্য।

তিনি দাবি করেছেন, ২০১৬ সাল থেকে মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি চীনের খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। মিয়ানমারের জেনারেলরা চীনের পুতুল হতে চান না। ফলে আমাদের মূল কাজ হচ্ছে চীনবিরোধী পশ্চিমা ও যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ঘনিষ্ঠ করা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সামরিক অভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

বেন-মেনাশে জানান, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনায় সহযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য তাকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মূলত তারা যাকে বাঙালি বলে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য কিছু তহবিল জোগাড়ের চেষ্টা করা। সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স।