জহির খন্দকার, ঈদগড় :
ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের পানের ছড়া ঢালায় অপহৃত কলেজ ছাত্র মোঃ আব্দুল্লাহ ১৬ ঘন্টা পর মুক্তিপণে মুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১ টায় ঈদগাঁও মেহেরঘোনা এলাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তার চাচা মৌলনা নুর মোহাম্মদ জানান, ঈদগাঁও মেহেরঘোনা গ্রামের পুর্ব পার্শ্বে জঙ্গলের ভিতর অপহরণকারীদের কথামত এক জায়গায় নগদ ৩০ হাজার টাকা রেখে দেওয়ার ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট পর অপহৃত  আব্দুল্লাহ কে ছেড়ে দেওয়া হয়।  শারীরিক নির্যাতনের কারনে সে  অসুস্থ। বর্তমানে ঈদগাঁও জমজম হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তার ছোট ভাই মোঃ ওমর ফারুখ জানান, অপহরনকারীরা প্রথমে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করলে ও পরে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণে ছেড়ে দিয়েছে আমার ভাইকে।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকাল ৭ টায় অটো-রিক্সা যোগে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মোঃআব্দুল্লাহ ও তার ছোট ভাই মোঃ ওমর ফারুখ একই গ্রামের অটোরিক্সা চালক নজরুল ইসলামের গাড়ীতে করে বড় বোন ছাদিকা আকতারের এনগেজমেন্ট অনুষ্টানের বাজার করতে ঈদগাঁও যাচ্ছিল। পথিমধ্যে গজালিয়ার পানের ছড়া ঢালা এলাকায় গেলে উৎপেতে থাকা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গাড়ীটি থামিয়ে কলেজ ছাত্র মোঃ আব্দুল্লাহকে অপহরণ করে গহীণ বনে নিয়ে গিয়েছিল।

অপহরণকারীদের কবল থেকে প্রায় ১৬ ঘন্টা অপর মুক্তিপণে মুক্ত হয়ে কলেজ ছাত্র আব্দুল্লাহ জানান, আমাকে চোখ বেঁধে গহীন বনের প্রায় ৩ কিঃমিঃ দূরে নিয়ে অমানবিক ভাবে শারীরিক নির্যাতন করেছে অপহরণকারীরা।
অপহ্নত মোঃ আব্দুল্লাহকে ফিরে পেয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী আনন্দিত।  ডাকাত অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করার জোর দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে ঈদগড়ের জনপ্রিয় সংগিত শিল্পী জনি ও দিনমজুর মোঃ কালু ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে ডাকাতের গুলিতে নিহত হওয়ার ৭ মাস পর সন্ত্রাসীরা আবারো সুসংগঠিত হয়ে সড়কে ডাকাতি অপহরণ শুরু করায় সড়কে যাতায়াতকরী ও ঈদগড় বাইশারীর প্রায় ৭০ হাজার  মানুষ শংকিত।
এলাকাবাসী দ্রুত চিরুণি অভিযান পরিচালনা করে চিহ্নিত ডাকাত অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান ।