সিবিএন ডেস্ক:
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের সানচুয়াং জেলায় সোমবার রাতে অন্তত ২০০ জন বিক্ষোভকারী আটকা পড়েছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে তাঁরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়েছিলেন। তাদের ধরতে রাতভর বাড়ি বাড়ি অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভোর ৫টার দিকে তাঁরা পালাতে সক্ষম হয়েছেন। তবে ২০ জনের মতো আটক হয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।

টেলিফোনে শার ইয়া মোন নামের এক বিক্ষোভকারী তরুণী আজ মঙ্গলবার সকালে টেলিফোনে রয়টার্সকে জানান, তারা ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল একটি ভবনে লুকিয়েছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন তল্লাশি বন্ধ করার ঘণ্টা দুয়েক পর ভোর ৫টার দিকে তাঁরা বাড়ি ফেরার সুযোগ পেয়েছেন।

জাতিসংঘ ও যুক্তরাজ্য গতকাল সোমবার রাতে আটকেপড়াদের শহরত্যাগের সুযোগ দিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানায়।

বিবিসির খবরে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের কয়েকশ জন একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আটকা পড়েছে জানিয়ে তাদের সবাইকে সেখান থেকে নিরাপদে বের হওয়ার সুযোগ দিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে গত ১ ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর থেকে দেশটিতে চলছে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ। রক্তক্ষয়ী এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক এবং আহত হয়েছেন অনেকে। সেনা অভ্যুত্থানের অবসান এবং দেশটির নেত্রী অং সান সু চিসহ সামরিক বাহিনীর হাতে আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, মিয়ানমারে বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৬ জনের বেশি। তবে, অন্যান্য প্রতিবেদনে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চলমান বিক্ষোভের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন ছিল গত ৩ মার্চ। মিয়ানমারের বিভিন্ন নগর ও শহরে সেদিন ৩৮ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন।