নুরুল ইসলাম বিজয়

প্রচার সম্পাদক
সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি বাংলাদেশ
উখিয়া উপজেলা শাখা ।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা লালদিয়ার চরে দীর্ঘ অনেক বছর বসবাসরত স্থানীয় নাগরিকরা হারিয়েছে ঘর, বাড়ি, খাদ্য আরো অনেক কিছু।

“১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিমান বাহিনীর ঘাঁটি সম্প্রসারণের প্রকল্প নিলে তখন লালদিয়ার চর গ্রামের বাসিন্দা নিজেদের পৈত্রিক বসতভিটা ছেড়ে এখানে এসেছিল। তারা এখন উচ্ছেদ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।

মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ের খোঁজে আসা রোহিঙ্গাদেরও ঠাঁই দিয়েছেন। এই উচ্ছেদে হতভাগ্য ১৪ হাজার মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? এ প্রশ্ন আমার মত অনেকের। তাদের মাথা গোঁজার ব্যবস্থা না কর উচ্ছেদ এটা মানবাধিকার লংঘন।

সোনার বাংলার বুকে রোহিঙ্গারা জায়গা পায়, আর নিজ দেশের নাগরিকরা ভিটে বাড়ি হারায়।

মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার ,গৃহহীন ছাড়া থাকবে না একটিও পরিবার।

চট্টগ্রামের দক্ষিণ পতেঙ্গা লালদিয়ার চর এলাকার ২৩শ পরিবারের ১৪ হাজার মানুষ আজ গৃহ ছাড়া করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। যেখানে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গার খাদ্য বস্ত্র চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়, সেখানে দেশের নাগরিক হয়েও থাকার অধিকার নেই!

কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন না করেই ২৩শ পরিবারের ১৪ হাজার মানুষকে উচ্ছেদ করে রাস্তায় নামিয়ে দিল। ভেঙ্গে ঘুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে অর্ধ শত বছরের পুরাতন মসজিদ মাদ্রাসা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বাপ-দাদার কবরস্থান, অসহায় পরিবার গুলোর আর্তনাদ, এক একটি কান্নার শব্দ যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ছে।

তাদের এমন অসহায়ত্বের দিনে চট্টগ্রামের নেতারা নিশ্চুপ, কেউ নেই তাদের পাশে। এসময় চট্টল বীর মহিউদ্দিন চৌধুরীকে খুব প্রয়োজন ছিল তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য । তাঁকেই স্মরণ   করছি। আজ তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো এমনটা হতে দিতেন না ।

ক্ষমা করো লালদিয়ার চর বাসী। জাতি হিসেবে আমরা নির্লজ্জ।

বাংলাদেশে যদি রোহিঙ্গারা বাসস্থান পায় এদেশের সন্তান এই দেশের মাটিতে জন্ম নিয়েছে তারা কেন বাসস্থান পাবেনা। এখানের অসহায় মা বাবা ভাই বোন শিশুদের কান্না দেখে  কান্না এসে যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় রোহিঙ্গারা যদি বাংলার মাটিতে বাসস্থান পায় ,বাংলাদেশের জন্ম নিয়ে আমরা কেন পাব না?

সরকারের উচিত ছিল এদেরকে পুনর্বাসন দিয়ে তারপর উচ্ছেদ করা, তা না হলে এই সমস্ত মানুষজন এরা কোথায় গিয়ে দাড়াবে? এটা মানবাধিকার লংঘন বলে মনে করি।
তাদের বাসস্থান দেওয়া হোক ।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন তাদের মাথাগোঁজার ঠাই করে তারপর উচ্ছেদ করা হোক।