বার্তা পরিবেশক:
ইয়াবা বা অন্য কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে আমাকে ক্রসফায়ার দিন বলে জানিয়ে কক্সবাজার প্রশাসন ও গণমাধ্যমের কাছে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করছেন শহরের মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়া এলাকার রিয়াজ আহমেদের স্ত্রী রোজিনা খাতুন।
সম্প্রতি কক্সবাজারে পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে এসআই সহ আটক তিন পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের কৃত দ্রুত বিচার আইনের মামলার বাদী তিনি।
সোমবার আপন বসতঘরে নিজের উপর সংঘটিত এই ঘটনার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জেলা পুলিশ সুপার, সদর মডেল থানার ওসি এবং সকল গণমাধ্যমেের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান রোজিনা খাতুন।
তিনি বলেন, আমি একজন সাধারণ মেয়ে।
গ্যাসের দোকান সহ এলাকায় ছোট খাট ব্যাবসা বানিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করি।
ঘটনার দিন পুলিশ পরিচয় দিয়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে যারা আমাকে নির্যাতন করেছে,কক্সবাজার থানা পুলিশ তাদের আইনের আওতায় এনে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে,সে জন্য আমি পুলিশ সুপার,থানার ওসি,বিচার বিভাগ,সাংবাদিক সহ সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।
মহান আল্লাহর কাছে সবার জন্য দুহাত তুলে দোয়া করছি এবং করব।
আমি যেন ভবিষ্যতে ন্যায় বিচার পায় সেজন্য সকলের আন্তরিক সহায়তা ও দোয়া চাই।
একজন নারী হয়েও অস্ত্রধারীদের হাত থেকে প্রানে বেঁচে যাওয়া সীমাহীন সাহসী রোজিনা খাতুন পুরো ঘটনার বর্ননা দিতে গিয়ে এখনো শিউরে উঠছেন। অঝোরে কাঁদছেন তিনি।
শহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সহ তিন পুলিশ সদস্য টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে তার উপর যে শারীরিক নির্যাতন করেছে,তার আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে রোজিনা হাউ মাউ করে কান্না করে বলেন,প্রতিবেশী এবং পুলিশ সহায়তা না করলে ওরা আমাকে গুলি করে হত্যা করত।
এমন একটি ঘটনাকে আড়াল করতে কয়েকটি গণমাধ্যম রোজিনাকে মাদকব্যাবসায়ী সাজিয়ে ধারাবাহিক অপপ্রচার করছে বলে অভিযোগ করে রোজিনা প্রকাশিত এসব সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে এতে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করে বলেন,যাচাই বাচাই না করে এরকম মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ যারা পরিবেশন করছেন তাদের কি মা বোন নেই?
আমি এধরণের ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে আমাকে ক্রসফায়ার ফায়ার দেওয়া হোক। আমার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোথাও একটি মাদকের মামলা ও সাধারণ অভিযোগ ও নেই।
অন্যথায় অসত্য সংবাদ পরিবেশ করে কারো মানহানি না করার জন্য সাংবাদিক ভাইদের বিনয়ের সাথে অনুরোধ জানান রোজিনা খাতুন।