নেজাম উদ্দিন, চকরিয়াঃ
চকরিয়ায় মসজিদে নামাজ’রত মুসল্লিকে হত্যাকান্ডের পর জড়িত চক্রটি আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এবার হত্যার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে ঘটিয়েছে কোপাকুপির ঘটনা। আহত ব্যক্তি প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় ফের মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে হামলাকারী দল।

এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ খুটাখালী ইউনিয়নের উত্তর ফুলছড়ি এলাকায়। সেখানকার মানুষের মাঝে আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও হতাহতের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা গেছে, উত্তর ফুলছড়িতে গত রবিবার সকালে তুচ্ছ বিষয়ের শালিস বৈঠক বসেন এলাকার মুরব্বি নুরুল ইসলাম হেলালি। বৈঠকের মাঝখানে একটি পক্ষ অতর্কিত অবস্থায় দা, হাতুড়ি, বেলচা দিয়ে হামলা চালায়।

স্থানীয়রা জানায়, এমন তুচ্ছ বিষয়ে এখানে হত্যাকান্ডের ঘটনা আগেও ঘটেছে। সেখানে জড়িত ছিল এদেরই লোকজন। তাই সংঘটিত হামলার এ ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত তা স্পষ্ট। বিগত ১৩ বছর আগে এ চক্রের লোকজন মসজিদে নামাজরত মুসল্লিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এ হৃদয়বিদারক ঘটনা সাধারণ মানুষের মাঝে দাগ কেটেছে।

শালিস বৈঠকে আহতরা জানিয়েছে, বিগত ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে এলাকার মসজিদে প্রবেশ করে তুচ্ছ বিষয়ে আবদুল মজিদ নামের এক ব্যক্তিকে খুন করে।

হামলায় আহতরা হলেন- একই এলাকার মৃত হাবিবুল্লাহর ছেলে ছালামত উল্লাহ বাবুল, তার ভাই এনায়েত উল্লাহ ভুট্টো, জসিম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা মৃত আবদুল গণির ছেলে হেফাজত উল্লাহ ও তার ভাই জাহিদুল ইসলাম। এসময় রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

হামলার এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- স্থানীয় হান্নান মিয়া, তার ভাই মোহাম্মদ আলী, রমজান আলী, আজমত আলী, মোস্তাক আহমদ, নোমান, ফরিদুল আলম, বাক্কুম পাড়ার ছৈয়দ আলম, মধ্যম নাপিতখালীর মোহাম্মদ হোছাইন।

এ বিষয়ে শালিসকার উত্তর ফুলছড়ি এলাকার সর্দার মুরব্বি নুরুল ইসলাম হেলালী বলেন, এলাকায় সামান্য বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ হয়। উভয় পক্ষের সম্মতি পেয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু পেশির জোরে লোহার তৈরি এসব অস্ত্র দিয়ে মারধর চালানো অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি সালিশকারকে অবমাননা ছাড়া কিছুই নয় বলে জানান তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়াসিম আকরাম জানান, কথা কাটাকাটির বিরোধ নিষ্পত্তি করতে এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ মুরব্বি দুইপক্ষের বিরোধ মিটমাটের চেষ্টা করেন। কিন্তু বৈঠকে একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মুরব্বির সামনে এমন একটি কখনো কাম্য হতে পারে না।