সিবিএন ডেস্ক:
আটকের তিনদিন পর বরিশালে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের হাতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী রেজাউল করিম রেজার (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, আইনে যেহেতু সুযোগ আছে সেহেতু আবেদনকারী সেই সুযোগ পেতে পারেন। এ কারণে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলো।

এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (৩ মার্চ) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির। আর রাষ্টপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

আটকের তিনদিন পর বরিশালে ডিবি সদস্যদের হাতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী রেজার মৃত্যুর ঘটনায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ এর (ক) ধারার ক্ষমতাবলে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ আবেদন জানান।
প্রসঙ্গত, রেজাউল করিমের মৃত্যুর ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি তারা বাবা ইউনুস মুনশি মামলাটি করেন। মামলায় নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক মহিউদ্দিন আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া আরও দুজনকে আসামি করা হলেও তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ‘গত ২৯ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে বরিশাল নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হামিদ খান সড়কের একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে রেজাউলকে আটক করেন এসআই মহিউদ্দিন আহমেদ। দার কাছে মহিউদ্দিন দুজন মাদক ব্যবসায়ীর নাম জানতে চান। রেজাউল কিছু জানেন না বললে তার পকেটে হাত দিয়ে নেশাজাতীয় ইনজেকশন পাওয়ার দাবি করে তাকে আটক করে নিয়ে যান। এরপর রেজাউলের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পরে আহত রেজাউলকে থানার মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১ জানুয়ারি বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ জানুয়ারি রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।